ইতিহাস গড়ার পথে ইসরো
শনিবার চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে বিক্রম । প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে দেশবাসী । বিরল মুহুর্তের সাক্ষী থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
এছাড়াও গোটা দেশ জুড়ে ইসরোর তরফ থেকে ৬০ জন পড়ুয়া ডাক পেয়েছে চাঁদে অবতরনের বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকার জন্য ।
দেশবাসী ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর চাঁদের ছোঁয়ার অপেক্ষায় প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে গোটা দেশ ।
পৃথিবীর উপগ্রহে ১৪ দিন ধরে পাড়ি জমাবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’ ।
সব ঠিকঠাক থাকলে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১.৩০ থেকে ২.৩০ এর মধ্যে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ল্যান্ডার ।
চন্দ্রযান বিক্রম –এর অবতরণের শেষ ধাপ
‘বিক্রমের’ এর সফল অবতরণের প্রতিটা পদক্ষেপ এখন গুরুত্বপূর্ণ আকার ধারণ করেছে । উল্লেখ্য, চন্দ্রযান ২ থেকে সফলভাবে আলাদা হয়ে গেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ।
৩৫ x ১০১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কক্ষপথে ঘুরছে সে । কক্ষপথ অতিক্রম করে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে চাঁদের দিকে ।
অন্যদিকে যে কক্ষপথে চন্দ্রযানকে ছেড়ে ল্যান্ডার আলাদা হয়ে গিয়েছে, ৯৬ x ১২৫ কিমি দৈর্ঘ্যের ওই কক্ষপথেই রয়েছে চন্দ্রযান ২ ।
অবতরনের গতিবেগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ
অবতরণের শেষে ১৫ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে ইসরো । কারণ এই সময় বেশি গতিবেগে অবতরন করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
বিকল হয়ে যেতে পারে ল্যান্ডার । উদাহরণ স্বরূপ, সম্প্রতি ইজরায়েলের পাঠানো মহাকাশযান চাঁদে পৌঁছনোর পর যখন চাঁদের পিঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ।
গতিবেগ বেশি থাকায় জোরে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায় । ফলে, সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে চাঁদের বুকে ।
এর সঙ্গেই ইজরায়েলি মহাকাশযানের পথ চলার ইতি হয়ে যায় ।
তাই চন্দ্রযান-২ এর ক্ষেত্রে ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না ভারত । তার জন্য আগাম হিসাব নিকাশ কষে ফেলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা ।
তবে ইসরোর মতে, সংশয় এখনই কাটছে না । চাঁদের মেরু অঞ্চলে বরফ থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ।
তাই সেখানে গেলেই চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের উৎসের সন্ধান মিলবে । সেই সঙ্গে একাধিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর মিলতে পারে ।
চন্দ্রাভিযান-২ এর মধ্যে দিয়ে ভারতই পৃথিবীর প্রথম দেশ হবে, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর কৃতিত্ব অর্জন করবে ।