গ্রেপ্তার ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ‘তাজা’ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরাবুলকে। গ্রেফতারের পর লালবাজারে আনা হয় তাঁকে। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় উত্তর কাশীপুর থানায় তাঁকে ডাকা হয়। আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসেন উত্তর কাশীপুর থানায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ।
দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। আবার অন্য একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুনের অভিযোগে ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক লালবাজারে আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে পুলিশের একটি সূত্রে। তবে এই গ্রেফতারিকে নিছক লোক দেখানো বলেই কার্যত দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, “গ্রেফতার করেছে। একটু বিরিয়ানি দেবে, ভাল কম্বল দেবে। ও থাকবে ওখানে ভালভাবেই।”
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের সময় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা এলাকা। নিত্যদিন বোমাবাজি, গোলাগুলি এবং সংঘর্ষ বেধেছে। গোলমালে জড়িয়েছে তৃণমূল এবং আইএসএফ। আইএসএফের একাধিক কর্মীর মৃত্যু হয়। নাম জড়ায় আরাবুলদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ নেতাকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় তৃণমূল নেতা আরাবুলদের নামে। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আচমকা আট মাস পর কেন গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।