পিকে-র পরামর্শেই প্রশাসনকে তিরস্কার মমতার!
প্রকাশ্যে তিরস্কার করছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। আর মাথা নিচু করে তা শুনে যাচ্ছেন পদস্থ আধিকারিকরা। দলীয় নেতাদেরও রেয়াত করছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) ক্ষমতায় ফিরতে হলে এছাড়া আর উপায়ই বা কি!
সেই কারণেই পিকের পরামর্শে প্রকাশ্যে তিরস্কার করতে শুরু করেছেন মমতা। অন্তত তৃণমূলের(TMC) একটি সূত্রের খবর এমনই।
উত্তরবঙ্গের আটটি আসনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরের একটি আসনেও জয়ের মুখ দেখেনি মমতার দল। রাজ্যের অন্যত্রও ফল ভালো হয়নি।
তার পরেই তৃণমূল নেতৃত্ব শরণাপন্ন হন ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকের। তাঁর সংস্থা আইপ্যাকই এখন তৃণমূল দেখভালের দায়িত্বে।
পিকের পরামর্শেই দিদিকে বলো (Didi ke Bolo) কর্মসূচি চালু করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে ব্যাপক সাড়া মেলে। এতেই উতসাহিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় ফের দিদিকে বলো কর্মসূচি চালু করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতেও এখনও পর্যন্ত যথেষ্ঠই সফল রাজ্যের শাসকদল।
পিকের পরামর্শেই প্রকাশ্য সভায় ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কাটমানি ফেরত দিতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে রাজ্যজুড়ে অশান্তির সৃষ্টি হলেও, মমতার মিসেস ক্লিন ইমেজটাই শেষমেশ স্পষ্ট হয়েছে জনমানসে।
টিম পিকেও চাইছিল, তৃণমূল নেত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হোক। দলনেত্রীর যে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আমজনতার স্মৃতিতে গাঁথা রয়েছে, সেটিকে আরও উজ্জ্বল করতে পারলেই লাভের কড়ি ঘরে আসবে বলে টিম পিকের ধারণা। সেই কারণেই কাটমানি ফেরতের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার উত্তরের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক সভায় গিয়ে প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের প্রকাশ্যে তিরস্কার করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। দলীয় নেতাদেরও ছেড়ে কথা বলেননি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এসবই মুখ্যমন্ত্রী করেছেন পিকের পরামর্শে। পিকে তাঁকে বুঝিয়েছেন, দলই হোক বা সরকার, ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে সাময়িক বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে লম্বা দৌড়ে এটাই কাজ দেবে।
পিকের সেই পরামর্শ মেনেই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক কিংবা অন্য পদস্থ আধিকারিকদের প্রকাশ্যে তিরস্কার করেছেন বলে সূত্রের খবর।২০২১এ নির্বাচন।
তার আগেই যাতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করে ফেলা যায়, সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত। আর তা করতে গিয়েই প্রশাসনিক কর্তাদের তিরস্কার।
তিরস্কার করা হচ্ছে তৃণমূলের কিছু নেতাকেও। দলের এক নেতা বলেন, কিছুদিন আগেও দিদি কাছের লোকদের প্রকাশ্যে কিছু বলতেন না।ইদানিং আর বাছবিচার নেই।
যে কোনও কাউকেই যখন তখন তিরস্কার করছেন!কাউকেই ছেড়ে কথা বলছেন না।
পিকে টনিকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে না তো!