রাত পোহালেই উপনির্বাচন, হিসেব কষছে সব পক্ষই

সোমবার রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ২০২১এ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগের এই নির্বাচনকে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ হিসেবেই দেখছে সব রাজনৈতিক দল। এবারের অগ্নিপরীক্ষায় যাঁরা জয় পাবেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁদের আত্মবিশ্বাস যে কিছুটা হলেও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

এদিন নির্বাচন হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর, নদিয়ার করিমপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে।এই তিন কেন্দ্রের মধ্যে খড়গপুর সদরের রাশ ছিল বিজেপির হাতে। কালিয়াগঞ্জে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের পিএন রায়।

আর করিমপুরের রশি ছিল তৃণমূলের হাতে। এবার এই তিন কেন্দ্রের দখল যাতে একটি দলের হাতেই থাকে, সেজন্য ঝাঁপাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলই।

খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রটি মেদিনীপুর লোকসভার মধ্যে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি লিড নিয়েছিল প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার ভোট।

তবে ওই নির্বাচনের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ছ মাস। এই সময়সীমার মধ্যে বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ। এর ওপর এই কেন্দ্রে এবার প্রার্থী রয়েছেন ৯ জন।

তার মধ্যে যেমন বিজেপির অফিসিয়াল প্রার্থী রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন গোঁজ প্রার্থীও। শুধু তাই নয়, বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই দিতে প্রার্থী দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনাও।

স্বাভাবিকভাবেই ভোট কাটাকুটি হবে। এই কাটাকুটি খেলার পরিণতি কী হবে, কেউ জানেন না।

কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনটি পড়ে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে এবার পদ্ম ফুটেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি আশাবাদী।

তবে তাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের পিএন রায়।

কালিয়াগঞ্জের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে পিএন রায়ের মেয়ে ধীতশ্রী রায়কেই প্রার্থী করেছে বাম এবং কংগ্রেস জোট। এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূলও। তাই মূল লড়াইটা যে এবার সত্যিই সেয়ানে সেয়ানে হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে করিমপুরেও। এই কেন্দ্রে প্রধান চার দলের তিন প্রার্থী রয়েছেন। বাংলাদেশ ঘেঁষা এই বিধানসভা কেন্দ্রে এনআরসিকে হাতিয়ার করে প্রচারে কার্যত ঝড় তুলেছিল তৃণমূল।

আর রাজ্যের শাসক দলকে জব্দ করতে এবারও অনুন্নয়নকেই হাতিয়ার করে প্রচার করেছেন বিরোধীরা। এক সময় বামেদের গড় বলে খ্যাত করিমপুরের একটা বড় অংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

তাই এনআরসি জুজু কতটা ভয়ের সঞ্চার করে, তার ওপরই নির্ভর করছে অনেক কিছুই।

এখন দেখার, জনতা জনার্দন কার হাতে তুলে দেয় তিন কেন্দ্রের রাশ!

সম্পর্কিত পোস্ট