শিয়ালদহের সব শাখাতেই ১২ কামরার ট্রেন চালু – যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের

শিয়ালদহের সমস্ত শাখায় ১২ বগির লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য যে পরিকাঠামো তৈরি করার দরকার ছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তার পরেই চালু হয়ে যাবে নতুন পরিষেবা। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হল এই খবর। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের।
শিয়ালদহ মেন অর্থাৎ শিয়ালদহ-রানাঘাট-কৃষ্ণনগর এবং শিয়ালদহ উত্তর অর্থাৎ শিয়ালদহ-বনগাঁ বিভাগ – শিয়ালদহের এই দুই শাখায় যে পরিমাণ ভিড় হয়, তাতে ন’বগির ট্রেনে যাত্রীদের অসুবিধা উত্তরোত্তর বাড়ছিল। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির কথা ভাবলেও তা বাস্তবায়িত করা সহজ ছিল না। ট্রেনের কামরা বাড়লে ট্রেনের দৈর্ঘ্য বাড়বে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যেহেতু শিয়ালদহ শাখা পূর্ব রেলের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন, তাই এই কাজ সহজ ছিল না। কারণ এই কাজ করার জন্য যে ট্রেন চলাচল যতক্ষণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন, তা শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত স্টেশনে সম্ভব নয়।
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় তিনটি লাইনের ট্রেন যাতায়াত করে— শিয়ালদহ দক্ষিণ, শিয়ালদহ মেন অর্থাৎ শিয়ালদহ-রানাঘাট-কৃষ্ণনগর এবং শিয়ালদহ উত্তর অর্থাৎ শিয়ালদহ-বনগাঁ বিভাগ। এর মধ্যে শিয়ালদহ দক্ষিণের সমস্ত ইএমইউ ট্রেনকে ১২ বগির করে দেওয়া হলেও বাকি দুই বিভাগের সব ট্রেন ১২ বগির ছিল না। বরং বেশির ভাগ ট্রেন ছিল নয় কামরার। প্রথমেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ প্ল্যাটফর্মগুলির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি চলতে থাকে সংশ্লিষ্ট ওভারহেড তারের কাজ, সিগন্যাল এবং ইয়ার্ড লে আউটের পরিবর্তনের জন্য নন ইন্টারলকিং সংক্রান্ত নানা কাজও।
শিয়ালদহ স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কাজ প্রায় শেষের পথে এখন। কাজ চলছে ১, ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মেও। এরপর ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কাজ শেষ হলেই শিয়ালদহের সব বিভাগে ১২ বগির ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।