সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ , বেআইনি কাজে যুক্ত , সরকারে এর ব্যবস্থা নেবে

অনন্যা ব্যানার্জি: – ডাঃ সন্দীপের ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়।

জানুয়ারী ২০২১ থেকে আজ অবধি সময়ের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য বিশেষ দল SIT গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি ও বেআইনি কার্যকলাপের সাথে জড়িত প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড.সন্দীপ ঘোষ । সরকারি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে। কোটি কোটি টাকার টেন্ডারে অনিয়ম সন্দীপের । পছন্দের ভেন্ডারদের বেআইনি টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছে সন্দীপ। যোগ্যতা ছাড়াই বরাত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে সন্দীপের বিরুদ্ধে । তৎকালীন হাসপাতালে ডেপুটি সুপরিশদের দীর্ঘদিন ধরে সাস্থভবনে তিনি অভিযোগ করেন পরবর্তী কালে গতবছর জুলাই মাসে রাজ্য ভিজিটরস কমিশনের কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ করেন । এখানে সরকারি অর্থের অপব্যবহার সাস্থদপ্তর এবং কলেজ কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়াই হাসপাতাল চত্বরে নানান রকমের ক্যান্টিন , খাবারের দোকান বেআইনি ভাবে রি অভিযোগ । তিনজন ভেন্ডারের সঙ্গে অবৈধ ভাবে যোগাযোগ ।

এই তিনজন ভেন্ডেরই সমস্ত কাজের গোড়ার ক্ষেত্র। কোটি টাকার উপর তাদের সমস্ত টেন্ডার তাতে নিয়ম বহির্ভূত হবে । যাদের আদেও অংশ নেওয়ার ই যোগ্যতা ছিল না তাদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এবং এরই সঙ্গে টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত সমস্ত নীতি সন্দীপ ঘোষ ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলতেন।

হাসপাতালের যে অ্যাকাউন্ট অফিসার তার সমস্ত কিছু বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করে পছন্দের লোককে যাতে দ্রুত টাকা পাইয়ে দেওয়া যায় তার জন্য প্রেসার দিতেন। হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গাতে PWD কে বাদ দিয়ে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য বাইরে থেকে লোক দিয়ে কাজ করানো হতো।

একাডেমিক ফান্ডের তত্ত্ব হাসপাতালের যেকোনো কাজের জন্য বিভিন্নভাবে ভাগ করে ১ লাখ টাকা করে করানো হতো , যাতে ই টেন্ডার না করতে হয়।

সরকারি অর্থের অপচয় করেন। স্বাস্থ্য ভবন এবং কলেজ কাউন্সিলের পূর্বানুমোদন ছাড়াই সরকারের সম্পদ থেকে বেআইনি প্রদান যেমন খাবারের স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিন, সুলভ কমপ্লেক্স ইত্যাদি দরপত্র এবং উচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া।

বিক্রেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুতর স্বজনপ্রীতি, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসার খান নামে মাত্র তিনজন বিক্রেতা অর্ডার পাচ্ছেন । ইচ্ছাকৃতভাবে আর্থিক নিয়ম এড়ানো।

অ্যাকাউন্ট অফিসারদের ওভাররুলিং, দরদাতাদের জন্য নেকড সুবিধা করতেন।একাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার।

তার অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মীদের মাধ্যমে ব্যবহৃত বিপজ্জনক বায়োমেডিকাল বর্জ্যের অবৈধ বিক্রি

কেএমসি বা সরকারী কর্তৃপক্ষের টু হুইলার পার্কিং বাই পাসিং সংগ্রহের আকারে বে-নামি ব্যবসা চালানো, ছেলেদের প্রধান হোস্টেলে ক্যান্টিন চালানো, খুব নতুন মহিলা হোস্টেল এবং হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি ক্যাফে।

আর্থিক সুবিধার জন্য মেস পরিষেবার অফিসারদের অবৈধ বদলি এবং ডঃ তনুশ্রী মন্ডল, প্রাক্তন ডেপুটি তাদের সঙ্গে চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের পরিচালকও জড়িত।

বিক্রেতাদের কাছ থেকে ২০% ঘুষ সংগ্রহ। যখন প্রয়োজন হয় তখন সাক্ষী বা অডিও রেকর্ডিং তৈরি করা হবে।

রিভলভিং এক্সিকিউটিভ চেয়ার, সোফা, ডাইনিং টেবিল, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি সংগ্রহ করে জিম তৈরি এবং অফিস চেম্বার সজ্জিত করার জন্য কোভিড তহবিলের অপব্যবহার এবং আমি আপনাকে জানাতে চাই যে আমি কয়েক মাস আগে হেড কোয়ার্টারের নজরে আনার চেষ্টা করেছি কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের সামনে এই বিষয়গুলো কিন্তু, ডাঃ সুদীপ্ত রায়, চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ড আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়েছেন। ডাঃ শুভব্রত দাস, ডিএডিএইচও আমাকে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছে। এতো বেআইনি কাজের জন্য কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি পাবে সন্দীপ ঘোষ।

সম্পর্কিত পোস্ট