১৪ আগস্ট সন্ধ্যা নামার প্রাক মুহূর্তে খুন
অনন্যা ব্যানার্জি: – আরজি করে চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ এবং তারপরে খুন। সারা পশ্চিমবঙ্গ তোলপাড় হচ্ছে শুধু পশ্চিমবঙ্গ না গোটা বিশ্ব মুম্বাই , দিল্লি , উত্তপ্রদেশ থেকে শুরু করে গুসকরা বর্ধমানে তেও। ভারত সাগর ছড়িয়ে গিয়ে সুদূর আমেরিকাতে অস্টিন সহ বহু জায়গাতে পৃথিবী জুড়ে আন্দোলন । কলম্বিয়া , রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া সেখানেও এই বিদ্রোহের আগুনে জ্বলে উঠেছে । ঠিক সেই সময় ১৪ আগস্ট স্বাধীনতার ঠিক প্রাক মুহূর্তে ৭৮ বছর পৌঁছানোর আগেই সূর্য পশ্চিমে অস্ত যাবে সন্ধ্যার আগমন হবে, আকাশের চাঁদ টাও ছিল অস্পষ্ট !ঠিক তার আগেই ঝাপনতলার এক আদিবাসী মেয়ের খুন। উচ্চশিক্ষিতা বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ছিল । সে সেইদিন ফিরে আসে বাড়িতে । ওয়াশরুমে যাওয়ার আগে বাড়িতে কাওকে না জানিয়েই বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে ডাকে। তারপরেই হলো ওই মেয়েটির নৃশংস হত্যা। যারা এই কাজের সাথে যুক্ত তারা তাকে হত্যা করে সেখান থেকে পলায়ন করে । ৭৮ তম স্বাধীনতার ঠিক প্রাক্কালে এমন পরিস্থিতি । যেখানে সেই মুহূর্তে গোটা পশ্চিমবঙ্গে চলছে আরেক মেয়ের জন্য লড়াই করছে , আন্দোলন করছে ,দোষীর শাস্তির দাবিতে । ঠিক আরেকদিক এ সেই দিন আরেক মেয়ের হত্যা। ১৫ ,১৬,১৭ আগস্ট শাসকদল নিরব , নিস্তব্দ । শক্তিগড় থানায় , বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকার রাজ্য পুলিশ থেকে শুরু করে শক্তিগর, গাঙপুরের পুলিশের । কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না আর এই দিক এ তেও যেখানে আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন সেইদিক এতেও রয়েছে রহস্য , সেই দিক এ ও পুলিশ অপরাধীকে ধরতে পারছে না । সব দিক থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আসল অপরাধী কে?তাদের উদ্দেশ্য কি ? কারা?কে কে আছে ঘটনার মধ্যে । সব কিছু রহস্য খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে ।এবং এই পরিবারটা খেটে খাওয়া সাধারণ গরীব মানুষ , নুন আনতে পান্তা ফুরায় । পোস্টারে পোস্টারে ভর্তি এই বর্ধমান , গাংপুর সব এ। উন্নয়ন এর কোনো ছিটে ফোটা নেই, অনেক রাজনৈতিক দল এসেছিল । কথা অনেকে দিলেন রাখবেন তো কথা । ঠিক ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে , রাজ্য সম্পাদদিকা মিনাক্ষী মুখার্জী আর রাজ্য সভাপতি দেবজ্যোতি সাহা তারা এসেছিলেন দেখেছেন । যে আদিবাসী মেয়েটিকে পৃথিবীথেকে বাধ্য করেছে বিদায় নিতে , সেই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন । বলেছেন যদি আগামী ৭ দিনের মধ্যে অপরাধী ধরা না পড়ে তাহলে বর্ধমান এ কার্জন গেটের