স্মৃতির পাতায় অমলিন… চুনী গোস্বামীর ১০ অজানা তথ্য…
রাহুল গুপ্ত
সুবিমল গোস্বামী, যিনি ভারতীয় ফুটবলে চুনী নামে খ্যাত৷ ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বাংলার প্রাক্তন রঞ্জি অধিনায়কের প্রয়াণে শোকাহত ক্রীড়ামহল৷
১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসের স্বর্ণজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন চুনী। তিনি বলেছিলেন, সেই সময়ে সন্তোষ ট্রফিতে অংশ নেওয়া বাংলা ফুটবল দল বোম্বাই রঞ্জি ট্রফি দলের থেকে বেশি পারিশ্রমিক পেত৷
এবার দেখে নেওয়া যাক কিংবদন্তি এই ক্রীড়াবিদের ১০টি অজানা তথ্য৷
১.চুনী ছিল তাঁকে দেওয়া একটি ডাক নাম। তাঁর আসল নাম সুবিমল গোস্বামী।
২. তিনি ১৯৬২ সালে এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারের পুরষ্কার অর্জন করেছিলেন। ভারতীয় ফুটবলে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন৷ তবে এর ১০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি৷
৩. ৮২ বছরের জন্মদিনে ভারতীয় ডাক বিভাগ একটি স্মরণীয় স্ট্যাম্প অর্থাৎ ডাক টিকিট প্রকাশ করে৷
৪. ১৯৬২ জাকার্তা এশিয়াডে ভারতকে সোনা এনে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন চুনী৷ প্রতিদানে টটেনহ্যাম হটস্পার এফসি-র তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিল৷ কিন্তু মোহনবাগান ছেড়ে যেতে হবে এই ভেবে ইংলিশ প্রিমিয়র লিগ ক্লাবে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন৷
ক্রিকেটার চুনী গোস্বামী গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন শক্তিশালী ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংকে
৫. চুনী গোস্বামী আজীবন মোহনবাগানের হয়ে খেলে গিয়েছেন৷ জুনিয়র দলের সদস্য হিসাবে আট বছর বয়সে শুরু করেছিলেন। টানা ২২ বছর গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে খেলেছেন৷ ১৯৬৮ মোহনবাগানের জার্সি গায়েই ক্লাব ফুটবলকে বিদায় জানান দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ২০০৫ সালে তাকে মোহনবাগান রত্ন প্রদান করা হয়।
৬. তিনি ১৯৬০ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। “দ্য টেলিগ্রাফকে তিনি বলেছিলেন,” এই দিনগুলিতে আমার বেতন ৪৫০ টাকা ছিল৷’
৭. পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তুলসীদাস বলরাম ভারতীয় ফুটবলে এই দুই কিংবদন্তি ছিলেন তাঁর সতীর্থ৷
৮. ২০০৫ সালে চুনী গোস্বামী কলকাতার শেরিফ হন৷ শহরের বিশিষ্ট নাগরিকের সম্মান পেয়ে আপ্লুত হয়েছিলেন তিনি৷
৯. ফুটবল এবং ক্রিকেটের পাশাপাশি চুনী গোস্বামী হকি ও লন টেনিস খেলেছেন। বিশ্বে এমন কৃতিত্বের খেলোয়াড় খুব কমই রয়েছে৷
১০. ২০১৫ সালে ফুটবল সম্রাট পেল যখন কলকাতায় এসেছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল কিংবদন্তি এই ফুটবলারের৷