যোগী রাজ্যে ফের ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: যোগীর রাজ্যে ফের নৃশংস হত্যা। বছর ১৩ এর একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ উঠল।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায়। মেয়েটির চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে ও জিভ ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লখনউ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দুরে একটি আখের ক্ষেত থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পরিবারের তরফে।

মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যে থেকেই তাঁর মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হন্যে হয়ে চারদিক খুঁজতে শুরু করে পরিবার।

পরে আখের ক্ষেতে মেয়ের মৃত দেহ উদ্ধার হয়। তার জিভ কেটে নেওয়া হয়। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

প্রকাশিত বাংলায় প্রথম মুম্বাই আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ে লেখা বই

পুলিশ সুপার খেরি সত্যেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মেয়েটির চোখ তুলে নেওয়া বা জিভ ছিঁড়ে নেওয়া হয়নি। ধারালো আখের পাতায় লেগে মেয়েটি গুরুতর চোট পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গোটা ঘটনাটিকে লজ্জাজনক বলে জানিয়েছেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দিকে কার্যত তোপ দেগে তিনি বলেন, যে সমস্ত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এতে বোঝা যায় সমাজবাদী পার্টি এবং বিজেপির সরকারের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।

ভীমআর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ জানিয়েছেন, বিজেপি সরকারে থাকাকালীন দলিতদের ওপর অত্যাচার সবচেয়ে বেশী পরিমাণে হচ্ছে। এটা জঙ্গলরাজ ছাড়া আর কি? যোগীর রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। আমাদের বাড়িও সুরক্ষিত নয়।

মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর উত্তরপ্রদেশ থেকে গুন্ডারাজ হটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশে তা কমেনি। বরং এই লকডাউনের সময়েও একের পর এক গুরুতর অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। যেখানে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের দিকে।

কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের হাপুরে একটি ছয় বছরের শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। শুক্রবার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে৷

একাধিক অপারেশনের পর শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পরিস্থিতি এখনও বিপদ সীমার বাইরে যায়নি বলে দাবী করেন চিকিৎসকরা।

এত কিছুর পরেও কবে চোখ খুলবে প্রশাসনের? উঠছে প্রশ্ন।

সম্পর্কিত পোস্ট