কুম্ভ ফেরৎ পুন্যার্থীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকার কড়া নির্দেশ প্রশাসনের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউতে বেসামাল গোটা দেশ। কড়া লকডাউন না হলেও বিভিন্ন জায়গায় কোভিড বিধি মানার স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বেসামাল পরিস্থিতিতে যখন একে একে জমায়েত বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তখনই কুম্ভমেলা বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে।
মাস্কবিহীন অবস্থায় ভিড়ে ঠাসা ঠাসি পুণ্যস্নানে বিস্তার করেছে করোনা। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বৃহত্তম আখড়ার প্রধান স্বামী অভদেশ্যানন্দগিরির সঙ্গে কথা বলে কুম্ভ মেলা বন্ধের আহ্বান জানান। ইতিমধ্যেই দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কুম্ভ ফেরত পুণ্যার্থীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টিনে থাকতেই হবে।
আপ সরকারের মুখ্য সচিব বিজয় দেব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, যারা কুম্ভ মেলায় গিয়েছিলেন তারা দিল্লি ফিরে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এমনকি ৪ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কুম্ভমেলায় যে সকল পুণ্যার্থীরা গিয়েছিলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি লিঙ্কে তাদের সমস্ত তথ্য আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দিল্লি যাচ্ছেন দিল্লি ছাড়ার আগে সব তথ্য প্রশাসনকে জানানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
করোনা কড়া চোখরাঙানি, অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল IIT-JEE
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কুম্ভ মেলায় এখনো পর্যন্ত ১৭০০ বেশি পুণ্যার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শাহী স্নানের বারবার যে ছবি উঠে এসেছে তাতে দেখা গেছে মাস্ক বিহীন মুখ। নেই সামাজিক দূরত্ব। গোটা দেশের চিকিৎসক মহল যখন বারবার সাবধান বাণী দিয়েছেন করোনা থেকে বাঁচতে তখন কুম্ভ মেলার শাহী স্থানের ছবি বারংবার কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে বিভিন্ন মহলের।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একের পর এক জমায়েত ঘুম কাড়তে শুরু করেছে রাজ্যবাসীর। প্রতিদিন রকেটের গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। তবুও হুঁশ ফিরছেনা আমজনতার।
যত্রতত্র মাস্ক বিহীন অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে মানুষকে। থেকে যাচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার অভাব। রাজনৈতিক নেতৃত্ব, প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও মানুষ নিজের যতক্ষণ না সচেতন হচ্ছেন ততক্ষন করোনার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।