বিরোধী শুণ্য রাজ্যসভায় দুদিনে পাশ ১৫ টি বিল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আট সাংসদের বহিষ্কার নিয়ে সংসদ বয়কট করেছেন বিরোধী দলের সদস্যরা। তারপর ২ দিনে পাশ হল ১৫ টি বিল। মঙ্গলবার পাশ হয় ৭ টি বিল, বুধবার পাশ হয় ৮ টি বিল।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৩ বিতর্কিত শ্রমিক বিলও। যার মধ্যে রয়েছে শিল্পে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক বিধি, সামাজিক সুরক্ষাবিধি এবং কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা নিশ্চয়তা বিধি। এই বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার আগে থেকেই বিলের বিরোধিতায় সরব হয় শ্রমিক সংগঠনগুলি।

যার মধ্যে আরএসএস পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনও। তাই বিরোধীদের অনুপস্থিতিতে তড়িঘড়ি পাশ করানো হল এই বিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের ৪৪ টি শ্রম আইনের মধ্যে ১৫ টিকে অপ্রাসঙ্গিক বলে দাবী করেছে বর্তমান সরকার।

নতুন করে ২৯ টি বিল আনা হয়েছে। বুধবার বিরোধী পক্ষের লিখিত বিরোধিতা আগ্রাহ্য করে এই বিল পাশ করানো হয়েছে।
যে বিলের ওপর দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে, বিরোধী শুণ্য সংসদে সেই বিল যাতে পাশ না হয় তার জন্য চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবী আজাদ। একতরফা বিল পাশ করানো হলে গণতন্ত্রের ওপর কালি পড়বে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই বিলের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছ। বিরোধিদের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কিভাবে করা উচিত সেটাই প্রশ্ন। রাজ্যসভার সম্মান রক্ষার জন্য তিনি দায়বদ্ধ। সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/china-wants-to-walk-the-path-of-compromise-claims-xi-jinping/

তিনি আরও বলেন, বিরোধিরা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবাদ করলে সংসদের আলোচনা থেকে তাঁরাই বঞ্চিত হবেন।
রবিবার সংসদে পাশ হয় কৃষি বিল। শুরু থেকেই বিলের বিরোধিতা করে আসছেন বিরোধী দলের সাংসদরা।

ভোটাভুটির মাধ্যমে না হয়ে শুধুমাত্র মুখের আওয়াজে ভোট হওয়ায় ডেপুটি চেয়াম্যান হরিবংশ প্রসাদ সিংয়ের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী পক্ষ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা।

সোমবার রাজ্যসভার ৮ সদস্যদের সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। সংসদ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধী দলের সদস্যরা৷ তারপর থেকে গান্ধী মুর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন বিরোধী সাংসদরা।

বুধবার সংসদ চত্বরে পোস্টার নিয়ে মিছিল করেন সাংসদরা। বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী আজাদ বলেন, যেভাবে একের পর এক বিল পাশ করানো হয়েছে তা অসাংবিধানিক।

সম্পর্কিত পোস্ট