করোনা রুখতে ১৫ দিনের লকডাউন, ঘোষণা রাজ্য সরকারের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ক্রমশ উর্দ্ধমুখী করোনা গ্রাফ। শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ১৩৬ জনের। মারা গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেজ ভাইও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ১৫ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রবিবার থেকে লাগু হবে নিয়ম। ছাড় থাকবে জরুরী পরিষেবায়।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সংক্রমনের শৃংখল ভাঙতে লকডাউন এর পথে হাঁটছে রাজ্য। এর আগে উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি সাপেক্ষে বাড়ানো হয়েছে সময়সীমা।
এদিন মুখ্য সচিব জানান বাংলার সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ0শপিং মল- বিউটিপার্লার-রেস্টুরেন্ট-সুইমিংপুল-সিনেমাহল-থিয়েটার। বন্ধ থাকবে সমস্ত গণপরিবহন।
রাজ্যজুড়ে আগেই লোকাল ট্রেন বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাসের সংখ্যা। এবার বাস মেট্রো ফেরি সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
কোভিড নিয়ে জরুরী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
একইসঙ্গে এদিন মুখ্য চিব জানান স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, আদালত, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, সংবাদমাধ্যম, সাফাই কর্মী, পেট্রলপাম্প,গাড়ির যন্ত্রাংশের মত জরুরী পরিষেবা চালু থাকবে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজারহাট-মুদিখানা। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
আগামী ১৫ দিন রাজ্যে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিয়ে বাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন এবং সৎকারের জন্য সর্বাধিক ২০ জনের জমায়েতে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
করোনার থাবা মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে, প্রয়াত মেজ ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়
অকারনে যাতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় ঘোরাঘুরি না করেন তার জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ন’টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলাচলের ক্ষেত্রে ও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা অমান্য করলে বা কোভিদ বিধি লংঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।