৩ মাস ধরে বাংলাদেশে আটকে ১৭০ টি পণ্যবাহী ট্রাক, দুর্ভোগে মালিক ও শ্রমিকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া ১৭০ টি পণ্যবাহী ট্রাক ৩ মাস ধরে আটকে থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রাক মালিক ও চালকরা।
করোনা জনিত লকডাউনের ফলে গত মার্চ মাস থেকে এসব ট্রাক বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্তের দু’পারেই করোনা সংক্রমণের ঘটনায় এসব ট্রাক এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে আটকে আছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
সীমান্ত পরিবহণ মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য সন্দীপ পাল মঙ্গলবার আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, ‘গত মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকেই ১৭০ টি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে মাল খালাস করতে দেরী হওয়ায় এসব ট্রাক সময়মত ফিরতে পারেনি।
তাঁর কথায়, লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে ট্রাকগুলো একটানা বাংলাদেশে পড়ে রয়েছে। এরফলে মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি এর চালক ও সহকারীরাও কাজ হারিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। একইসঙ্গে অনেক গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে।’
‘পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। সমস্যা নিরসনে প্রশাসনিক মহলে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ছট্টু সরদার, বাবলু তরফদার, রিফা সরদার, হান্নান মণ্ডল, ইয়াসিন মণ্ডল, সাজু মণ্ডল, রহমান মণ্ডল, ফারুক গাইন, আজাদ মণ্ডলরা জানান, তাদের গাড়ি লকডাউনের কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়েছে। তিন মাস হয়ে গেলেও প্রশাসনিক অনুমতি না মেলায় সেখান থেকে ফিরতে পারছে না।
অগ্নি সুরক্ষার স্বার্থে এবার প্রত্যেক ব্লকেই দমকল বাহিনী
বাংলাদেশে থাকা গাড়ি থেকে ব্যাটারি থেকে শুরু করে অনেক জিনিষপত্র চুরি হয়ে গিয়েছে বলেও তাঁরা জানান। ট্রাক মালিকরা অবিলম্বে বাংলাদেশে থাকা গাড়িগুলো ফিরয়ে আনার জন্য প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আবেদন জানিয়েছেন।
এনিয়ে বনগাঁর মহকুমা শাসক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই। করোনা পরিস্থিতি চলছে। মানুষের প্রাণ বাঁচানোই অগ্রাধিকারে রয়েছে।
উপরমহল থেকে যেরকম নির্দেশ আসছে সেরকমভাবে মেনে চলা হচ্ছে। ধাপে ধাপে যেভাবে এগোতে বলা হয়েছে সেভাবেই প্রত্যেকটা কাজ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের চাহিদা থাকবেই। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের ‘জীবন বাঁচানো’ই সবচেয়ে বড় কাজ, সেই কাজটাই সরকার করছেন। আমরা আধিকারিকরা সেভাবেই চলছি। মানুষের প্রাণ বাঁচানো, মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকারে রেখেছি।’
‘আগে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হবে। সেজন্য সাময়িকভাবে কিছু অসুবিধা হলে সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে’ বলেও মহকুমা শাসক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন।