২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ মিথ্যাচার, বলছে তৃণমূল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০ লক্ষ কোটির টাকার করোনা প্যাকেজের বাস্তবতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
যদিও মঙ্গলবার রাতেই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন এই নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, আমরা প্যাকেজকে স্বাগত জানালেও বাস্তবতা দেখেই এই নিয়ে বলতে চাই।
এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের সাংবাদিক সম্মেলনের পর তৃণমূলের প্রশ্ন এই ঘোষণার সত্যতা কোথায়?
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এদিন সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে কেন্দ্র। ২০ লক্ষ কোটি নয় প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে মাত্র ৪.২ লক্ষ কোটির। যা জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ।
অমিত মিত্রের ভাষায়, কেন্দ্রের ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের মধ্যে ১০ লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ঘুরে তা সাধারণ মানুষের কাছে কবে যাবে, কেউ জানে না। বিষয়টি অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। এ দিন ৪.২ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজকে বলা হচ্ছে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ, যা বিভ্রান্তিকর।
ব্রিটেন থেকে ধার করা করোনা প্যাকেজেও দিশা দেখাতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী
এদিন বিষয়টির ব্যখ্যা দিতে গিয়ে অমিত মিত্র বলেন, করোনা আবহে আগেই রিজার্ভ ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৮ লাখ কোটি দিয়েছে। ওই টাকাও ২০ লাখ কোটির প্যাকেজের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আগেই ১.৭ লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে বর্তমান প্যাকেজ ১০ লাখ কোটি টাকার। এই ১০ লাখ কোটির মধ্যেও সরকার ঋণ নিতে পারবে ৪.২ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের সামনে ২০ লাখ কোটি টাকার কথা ঘোষণা করলেন। আসল প্যাকেজ জিডিপির ২ শতাংশ মাত্র।
এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর একে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, আমরা তো বাজেটের সময় অনেক টাকা অঙ্কের ঘোষণা শুনি কাজের ক্ষেত্রে তার প্রমাণ তো কিছুই দেখা যায় না।
তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার করোনা পরিস্থিতিতে ৫২ হাজার কোটি টাকার ঋণ এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র বাংলার মানুষের জন্য টাকার ঝুলি নিয়ে আসুক। খাতায় কলমে টাকা আছে, অথচ বাস্তবে নেই এমন হওয়া উচিত নয়।
যদিও তৃণমূলের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলছেন রাজ্যের হাতে যেহেতু টাকা দেওয়া হচ্ছে না। যেহেতু তাঁদের কাটমাণি নেওয়ার সুযোগ থাকছে না তাই এসব কথা বলছেন তৃণমূল নেতারা।