দুর্গাপুর ব্যারেজ দুর্ঘটনা, স্মৃতি উস্কে উঠে আসছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নং লকগেট ভেঙে বিপত্তি। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। অন্যদিকে রয়েছে জলশূন্য হয়ে যাওয়ার ভয়ও। ২০২০ এর ঘটনা উস্কে দিচ্ছে ২০১৭ এর স্মৃতি।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাস। হঠাৎ ভেঙে গিয়েছিল দুর্গাপুর ব্যারেজের ১ নং গেট। জলশূন্য হয়ে পড়ে দুর্গাপুর ব্যারেজ। সেবার দিনরাত এক করে মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাঁধের নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেম তৎকালীন রাজ্যের সেচ ও জলবিভাগ দফতরের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন ধরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লকগেট প্রতিস্থাপন করে জলপূরণ করেছিলেন তিনি।
২০২০ সালের অক্টোবরের শেষ। তিন বছর পর একই দুর্ঘটনা উস্কে দিচ্ছে সেই স্মৃতি। যদিও প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে জলশূন্য হবে না দুর্গাপুর ব্যারেজ।
এবার আরও একটু পিছনে যাওয়া যাক। ১৯৪৩ সাল। স্বাধীনতার পুর্বে বাংলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় দামোদর পাড়ের একটি বৃহৎ অংশ। পরে ১৯৫৫ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের তত্ত্বাবধানের গড়ে ওঠে দুর্গাপুর ব্যারেজ। ইংল্যান্ডের টেমস ভ্যালির আদলে গড়ে তোলা হয় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। ৯১৬ মিটার দীর্ঘ ৩৪ টি লকগেট সহ এই ব্যারেজ গড়ে তোলে জেসপ কোম্পানি।
দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই মুহুর্তে ব্যারেজের অবস্থা শোচনীয়। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। তবে ৩ বছর দুর্গাপুর ব্যারেজের দুর্ঘটনা উস্কে দিচ্ছে ২০১৭ এর স্মৃতি। উঠে আসছে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।