বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে নজর মুখ্যমন্ত্রীর, নিশানায় বিজেপি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ‘আমরাই পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করব।’ মঙ্গলবার এই ভাষাতেই জলপাইগুড়িতে ২১ এর বিধানসভা ভোটযুদ্ধের প্রচার কার্যত শুরু করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে পাঁচ বছরে ২ কোটি চাকরি, প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদী সরকার। সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি, বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানেই প্রতারণা।’

এরপরেই তিনি গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘২০১৪-১৯ সালের লোকসভায় বিজেপি বাংলা ভাগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভোট এলেই ওরা গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দেয়। যার ফলে ভোট পেয়ে জিতেছে। আমি বলিনি তাই ভোটও পাইনি।

কিন্তু, এখন ওরা বিজেপির নাটক বুঝতে পেরেছে। এই জন্য দার্জিলিংয়ের সকলকে ধন্যবাদ। পাহাড়-সমতলে লড়াই বাধিয়ে লাভ হবে না। আমি চাই পাহাড়-তরাই নিজেদের মতো করে ভাল থাক। আমরাই পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করব।’ তবে এদিন তাঁর বক্তব্যে তিনি একবারও বিমল গুরুংয়ের নাম মুখে আনেননি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-state-may-appoint-a-special-officer-at-the-head-of-the-calcutta-municipality/

দক্ষিণবঙ্গের মত উত্তরবঙ্গেও মমতার নিশানায় সেই গেরুয়া দল। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রশ্নে এ দিন বিজেপির চা বাগান খোলার আশ্বাস নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত, চম্বলের বড় বড় ডাকাত। ওরা নতুন একটা ধর্ম এনেছে, দাঙ্গা ধর্ম। বিজেপি বলেছিল জিতলে ৭টা চা বাগান খুলে দেবে। কিন্তু সেটা কি খোলা হয়েছে? কেন্দ্র অধিগ্রহণ করবে বলেছিল।’

এরপরই চা বাগান শ্রমিকদের প্রতি আশঅ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চা সুন্দরী প্রকল্প হয়েছে। ৩৭০টি চা বাগানের শ্রমিকদের পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে।। আরও হবে। শুধু বড় বড় ভাষণ দিলেই হয় না।’

সম্পর্কিত পোস্ট