জঙ্গিপুরের মাটিতে ‘ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট’ ইয়াকুবই ভরসা তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক পালাবদল শুরু হয়েছিল তার আঁচ গিয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদেও। একসময়ের কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের গড়েও এখন ঘাসফুল ফোটে।
মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মুড সুইংয়ের শ্রেয় জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের এবং ব্লক লেভেলের নেতাদের পাওনা৷ এরকমই জঙ্গিপুরের মতো আদ্যপ্রান্ত কংগ্রেসি এলাকায় ঘাসফুলের বীজ বপনের পুরো ক্রেডিট তৃণমূল নেতা ইয়াকুব আলির।
যদিও ২০১৩ সালে রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল কংগ্রেসের হাত ধরেই। ওই বছরেই জরুর গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেন স্ত্রী রিনা খাতুন বিবি। কিন্তু জয় হয়েছিল ইয়াকুব আলির স্ট্র্যাটেজিতে। এরপর ২০১৪ সালে মান্নান হোসেনের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন৷ ব্যাস বদলে গেল রাজনীতির হাওয়া।
২০১৬ সালে রঘুনাথগঞ্জ থেকে ব্যাপক ভোটে লিড দিলেন ইয়াকুব। জয়লাভ করলেন তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন৷ জাকির হোসেনের মন্ত্রী পদ পাওয়াতে কাজ অনেকটা সুবিধা হল ইয়াকুবের। এলাকার মানুষের সমস্ত দাবীদাওয়া নিয়ে মন্ত্রী জাকিরের কাছে পৌঁছে যান ইয়াকুব।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/opposition-is-getting-the-smell-of-votes-in-the-priests-allowance-by-cm-mamata-banerjee/
মন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে সেগুলোর সমাধানও করেন। তাই তো গোটা রাজ্যে যখন গেরুয়া ঝড় বইতে শুরু করেছে, তখনও ইয়াকুবের ওপর ভরসা রেখে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছেন। এলাকার ছ’টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটি তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে।
বছর ঘুরলেই ২১ এর নির্বাচন। গঙ্গা পাড়ে এই মুহুর্তে নিস্তব্ধতা থাকলেও শুরু হয়েছে নির্বাচনী তোড়জোর। বিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করতে ইয়াকুবকে সামনের সারিতে রাখতে চাইছে তৃণমূল।
কারণ তার স্বচ্ছ ইমেজকে কাজে লাগিয়েই এলাকায় সংখ্যালঘু ভোটের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের ভোটকে সহজে ঝুলিতে ভরতে পারবে তৃণমূল। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মন্ত্রী জাকির হোসেনের অন্যতম ভরসা নেতা ইয়াকুব আলি।