২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত ২১৯৮, আতঙ্কিত হবেন না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে, আশ্বাস মুখ্যসচিবের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে রেকর্ড সংখ্যক আরও ২,১৯৮ জন নভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।

এই নিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪০,২০৯। অন্যদিকে এই সময়ে এখনো পর্যন্ত আরো ২৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে আজ সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

যার মধ্যে ১২ জন কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। ফলে এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল এক হাজার ৭৬ জন। যার মধ্যে ৫৬১ জন কলকাতার বাসিন্দা।

বর্তমানে ১৫ হাজার ৫৯৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই সময় রেকর্ড সংখ্যক সর্বাধিক আরও ১ হাজার ২৮৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

ফলে মোট ২৩ হাজার ৫৩৯ জন রোগী আরোগ্য লাভ করলেন। অন্যদিকে আরোগ্যের হার হয়েছে ৫৮.৫৪ শতাংশ।গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ হাজার ৪৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলো।

এরপরেও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে একথা ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।

নবান্নে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা দাবি করেন সঠিক তথ্যের অভাব এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।

কন্টেনমেন্ট জোনে লকডাউন বিধি আরােপে তৎপর কলকাতা পুলিশ

করোনা মোকাবিলায় পরি-কাঠামোর কোনও ঘাটতি নেই বলে মুখ্য-সচিব দাবি করেছেন। তিনি বলেন আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নতুন করে শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণের হার বেড়েছে।

তবে সংক্রমণ যে গতিতে ছড়াচ্ছে তার থেকে অনেক দ্রুত গতিতে রাজ্য সরকার রোগ মোকাবিলার পরি-কাঠামো তৈরি করছে।

তিনি জানিয়েছেন, মূলত শহরাঞ্চলে বাড়ছে সংক্রমণ। তাই এবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিকে একটি ক্লাস্টার হিসাবে দেখা হবে এবং ওই সব জেলার মধ্যে পরিকাঠামোগত আদান-প্রদান চলবে। এজন্য স্বরাষ্ট্র সচিবসহ পদস্থ আধিকারিকদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

কনটেইনমেন্ট এলাকাগুলিতে বিধি-নিষেধের করাকরি থাকলেও এখনই গোটা রাজ্যের সার্বিক লক-ডাউন এর পরিকল্পনা নেই বলে মুখ্য সচিব জানিয়েছেন।

তবে রাজ্য সরকার দৈনিক নমুনা পরীক্ষা এবং হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়তে চলেছে।

তিনি বলেন, দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বাড়িয়ে ২৫ হাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একমাসের মধ্যে সরকারী-বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে আরও পাঁচ’হাজার বেড বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও মুখ্য সচিব জানিয়েছেন।

বর্তমানে রাজ্যের প্রায় পনের’হাজার কোভিড বেড রয়েছে। এখনো যথেষ্ট সংখ্যক বেড খালি রয়েছে বলে তাঁর দাবি।

মুখ্য সচিব বলেন, এখন শহরে ৭২ শতাংশ এবং জেলায় ৩৫ শতাংশ বেড়ে রোগী ভর্তি আছে। সুতরাং হাসপাতালে শয্যার অভাব নিয়ে এখনই আতঙ্কের কোন কারণ নেই।

পাশাপাশি কোভিড বেডের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাতে উপসর্গ-হীন এবং মৃদু উপসর্গ যুক্ত রোগীদের জন্য রাজ্য সরকার হোম আইসোলেশন এ ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মুখ্য সচিব জানিয়েছেন।

তিনি বলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে যারা আইসলেশনে থাকবেন তাঁদের ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা দিতে একটি হেল্প-লাইনে চালু করা হয়েছে।

১৮০০৩১৩৪৪৪২২২ নম্বরে সারা রাজ্যের মানুষ ২৪ ঘণ্টা ফোন করতে পারেন। বিশেষ করে হোম আইসোলেশনে থাকা মানুষের জন্য এটা চালু করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট