২১ এর সভায় উত্তরবঙ্গ থেকে রেকর্ড ভিড় হবে, সামাল দিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে কলকাতার নেতাদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিল উত্তরবঙ্গে। মালদহ থেকে কোচবিহার, মোট আটটি লোকসভা কেন্দ্রের একটিতেও জিততে পারেনি তারা। ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সেই ধাক্কা কিছুটা সামলালেও আবারও উত্তরবঙ্গে তাদের টেক্কা দিয়ে যায় বিজেপি। কিন্তু তারপর থেকেই খেলা পুরোপুরি ঘুরে গিয়েছে।

পুরসভা নির্বাচনের পর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের পঞ্চায়েত ভোট দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপির পাশ থেকে ক্রমশই সরে আসছে উত্তরবঙ্গবাসী। লোকসভা ও বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের পাশে থাকার আফসোস ভুলতেই যেন এবারের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দেওয়া নিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের উৎসাহ প্রবল। তাই একের পর এক ট্রেন, বাস বুকিং করতে শুরু করে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। সকলের লক্ষ্য ২০ জুলাই রাতের মধ্যে কলকাতায় পৌঁছে যাওয়া।

বামেরা ক্ষমতায় থাকাকালীন ব্রিগেডে বড় করে সমাবেশ করত। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো উত্তরবঙ্গ থেকেও অনেকে এসে যোগ দিতেন সেই সব সমাবেশে। তবে অতীতের সেই রেকর্ডকে এবার তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ ছাপিয়ে যাবে বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। শুধু দলীয়ভাবে নয়, অনেক জায়গাতেই এলাকার মানুষ নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে শহিদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য গাড়ির বন্দোবস্ত করছেন।

মন্ত্রী পদে ইস্তফা, তবে কী নাকভিই উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির প্রার্থী?

পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে প্রতিদিন নতুন নতুন আবদার আসছে, আমরা এতজন যাব কিছু একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিন। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের তৃণমূল নেতাদের এই মুহূর্তের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। কোনও কোনও তৃণমূল নেতা বলছেন, যত মানুষ কলকাতায় যেতে চাইছেন ততো গাড়ি পেলে হয়!

এদিকে ১৭ তারিখ থেকেই কলকাতায় ঢুকে পড়তে শুরু করবে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাদের বিভিন্ন অতিথিশালার পাশাপাশি গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মতো জায়গাতে রাখার বন্দোবস্ত করেছে শাসক দল।

উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের যাতে কোন‌ও অসুবিধা না হয় তা দেখভালের জন্য কলকাতার কাউন্সিলর ও বিধায়কদের দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো তাঁবু খাটানো, শতরঞ্জির ব্যবস্থা রাখা, খাবার-দাবারের বন্দোবস্ত করার কাজ জোরকদমে চলছে।

উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের দেখভালের জন্য কারা কারা স্বেচ্ছাসেবক হবেন সেই তালিকা তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব মিলিয়ে এবারের একুশের সমাবেশ নতুন রেকর্ড করবে বলেই তৃণমূল সূত্রে দাবি।

সম্পর্কিত পোস্ট