খাদ্যমন্ত্রীর গড়ে ধস, গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন ৩০০ র বেশি কর্মী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে রক্তক্ষরণ বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুভেন্দুর পর অনেকেই কার্যত দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মনোভাব নিয়েছেন। একের পর এক নেতা – কর্মী – সমর্থকদের দলত্যাগ বিধানসভা নির্বাচনের আগে চিন্তায় ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে।
দলে যখন এরকমই ডামাডোল অবস্থা, ঠিক তখন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গড় হাবরা বিধানসভায় ধস নামল শাসকদলে। তৃণমূলনেতা সোমনাথ দত্তের নেতৃত্বে তিনশোর বেশি কর্মী সমর্থক শুক্রবার দল ছেড়ে যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে।
এদিন বিকেলে বারাসাতে বিজেপির দলীয় এক কর্মসূচিতে হাজির হয়ে বিজেপির পতাকা তুলে নেন তারা। দলে নতুন সদস্যের হাতে পতাকা তুলে দেন বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতারা।
এদিন সকালেই জেলাপরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের পদ ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রভাবশালী নেতা ফিরোজ কালাম গাজী ওরফে বাবু মাস্টার।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/amit-shah-public-meeting-at-medinipu/
শুক্রবার দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তও। তিনিও বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে জেলাপরিষদের আরেক কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের পুরনো নেতা রতন ঘোষ পদ ও দল ছেড়ে নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে। বিধানসভা ভোটের আগে শাসক শিবিরে দল বদলের ধারা অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
খোদ খাদ্যমন্ত্রীর গড়ে শাসক শিবিরে ধস নামাতে পেরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। আর তার সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরীর গলাতে।
তিনি বলেন,”এদিন তৃণমূল নেতা সোমনাথ দত্তের নেতৃত্বে যারা বিজেপিতে যোগ দিলেন,তাদের অধিকাংশই নবীন।এর ফলে হাবরায় দলীয় সংগঠন আরও মজবুত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিধানসভা ভোটের পর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন খাদ্য কেলেঙ্কারির মন্ত্রী হিসেবে।
এদিন চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি বলেন, হাবরা বিধানসভা তো জিতবই। সেই সঙ্গে বারাসত জেলার ন’টি আসনই দখলে যাবে বিজেপির। তৃণমূলের আসন দুই অঙ্কের নিচে নেমে যাবে।