ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলায় এক মহিলা সহ মৃত ৪, গ্রেফতার ৫২
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র পেতে চলেছেন জো বাইডেন। কিন্তু তাঁর আগেই উত্তাল আমেরিকায়। বুধবার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে চলে হামলা। অভিযোগের তীর ট্রাম্প সমর্থকদের দিকে। ট্রাম্পের সমর্থনে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে শ্লোগান দিতে শুরু করে বশ কয়েকজন সমর্থক। ট্রাম্পের সমর্থনে চলে শ্লোগান। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। এখনও অবধি ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৫২ জন।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে শিলমোহর দিতে বৈঠক চলছিল ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের হাউজ অব রিপ্রেসেন্টটেটিভ এবং এবং সেনেটরদের মধ্যে। তখনই হাজারো ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল বিল্ডিং ঘিরে ফেলেন। এর পরেই গোটা এলাকা পুলিশের কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় অশান্তি। বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। ঘটনাটি এতটাই বড় আকার নেয় যে গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন সেনেটররা।
গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার ২০২০ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেন। এই ঘটনা আমেরিকার আসল ছবি নয় বলে দাবী করেছেন তিনি। কিছু উগ্রবাদী মানুষের হামলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করলেন তিনি। কোনরকম প্ররোচনার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেছেন জো বাইডেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/mumbai-attack-master-mind-arrested-from-pakistan/
ঘটনাটি আসলে গণতন্ত্রের অবমাননা দাবী সেনেট মেজরিটি লিডার মিচ ম্যাককনেলের।
৩ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩০৬ টি ইলেকটোরাল ভোটে জয়লাভ করেন জো বাইডেন। ২৩২ টি ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। এরপর থেকে একাধিকবার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বেশ কিছু প্রদেশে মামলা করেন তিনি। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বুধবারই জনসভা করে জনসভা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, তিন কোনওভাবেই পিছু হটবেন না। এরপরেই ঘটে হামলার ঘটনা। যদিও টুইট করে সকলকে শান্ত থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। টুইট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গণতন্ত্র এধরনের হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করে না জানিয়েছেন তিনি।