নদীতে ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ, আতঙ্ক মধ্যপ্রদেশে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা অবহেলা জর্জরিত গোটা দেশ। এরমধ্যে নদীতে একের পর এক মৃতদেহ ভেসে আসা ছবি ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক। বিহার, উত্তরপ্রদেশের পর এবার খবরের শিরোনামে মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার রুঞ্জ নদী।
স্থানীয়দের কথায়, সকাল-সকাল প্রাথমিকভাবে চার থেকে পাঁচটি দেহ নদীতে তারা দেখতে পান। তাদের দাবি কোভিড আক্রান্তদের দেহগুলিকেই এভাবে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্থানীয়রা জানান শ্মশানে পোড়ানোর স্থান নেই। জমছে মৃতদেহের পাহাড়।
নদীতে মৃতদেহগুলি দেখেই আতঙ্কে শিউরে ওঠেন এলাকাবাসী। দ্রুত প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়।
পান্না জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার মিশ্র জানান, দুটি দেহ ভেসে এসেছে। পরীক্ষা করা হয়েছে দেহ দুটি ।একটি 95 বছর বয়সী বৃদ্ধের। আরেকজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ছিলেন। দুজনেই নন্দপুর গ্রামেরই বাসিন্দা। জল থেকে তুলে সঠিকভাবে কবর দেওয়া হয়েছে দেহো গুলিকে তবে অন্য কোনো দেশের খবর তিনি পাননি বলেই এদিন জানান।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, স্নান করার রান্নার জলের যোগান থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় পানীয় জলের চাহিদাও এই রুঞ্জ নদীর জল থেকে মেটানো হয়ে থাকে। মৃতদেহ নদীতে ভেসে আসার ফলে সেই জল দূষিত হয়েছে।
প্রশাসনের ওপর আস্থা হারিয়ে তাদের ক্ষোভ মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তদের কিনা জানা নেই।তাই আর ব্যবহার করা যাবে না সেই নদীর জল। গবাদি পশুদেরই বা কি হবে? সব মিলিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন নন্দপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য গত দু’দিন ধরে নদীতে একের পর এক দেহ ভেসে আসার ঘটনায় সিউড়ে উঠছেন দেশবাসী। বিহারের বক্সারের পর উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। সকাল হতেই নদীর পাড়ে বেওয়ারিশ লাশের সারি।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী , গত কয়েক দিনে অন্তত 96 টি দেহ ভেসে এসেছে গঙ্গায়। তার মধ্যে বিহারের বক্সার জেলাতেই 71 টি দেহ ভেসে উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে প্রায় 25 টি দেহ ভেসে উঠেছে।
বক্সার পুলিশ সূত্রে খবর প্রত্যেকটি দেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। কোভিড পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে। দাহ করা হয়েছে কোভিড বিধি মেনেই। স্বাভাবিকভাবেই আঙ্গুল উঠেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
টুইট করে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত জানিয়েছেন বক্সারের গঙ্গায় দেহ ভেসে আসছে। এ নিয়ে অবশ্যই তদন্ত করা উচিত।