গোষ্ঠীকোন্দল থামাতে বিজেপির ৫ জেলা সভাপতি বদল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভাড়াটে সৈনিকের ভিড় যত বাড়ছে ততই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠী খেয়োখেয়ি তুঙ্গে উঠেছে। আর সেই গোষ্ঠীকোন্দল একুশের বিধানসভা ভোটে দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বুঝতে পেরে নড়েচড়ে বসলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

রবিবার আচমকাই পাঁচ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের সরিয়ে দিয়ে নতুন সভাপতি নিয়োগ করেছেন। যে পাঁচ জেলার সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে ওই পাঁচ জেলা হল, ব্যারাকপুর, হাওড়া (গ্রামীণ), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব), বিষ্ণুপুর ও বীরভূম।

অর্জুন সিং ও মুকুল রায়ের খাসতালুক ব্যারাকপুরে বিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন উমাশঙ্কর সিং। তাঁর জায়গায় সভাপতি করা হয়েছে রবীন ভট্টাচার্যকে। হাওড়া (গ্রামীণ) জেলার সভাপতি শিবশঙ্কর বেইজকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে প্রত্যুষ মণ্ডলকে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার (পূর্ব) জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলানো হরিকৃষ্ণ দত্তকে অপসারিত করে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে সুনীপ দাসকে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল কয়েকদিন আগেই ফুল বদল করেছেন। পদ্মফুল শিবির থেকে ঘাসফুল শিবিরে ভিড়েছেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/amit-shah-data-was-false-said-amit-mitra/

বিষ্ণুপুরের সাংসদের স্ত্রীর দলবদলে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই অস্বস্তি কাটাতে হরকালী পতিহারকে জেলা সভাপতির পদ থেকে হঠিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে সুজিত অগাস্তিকে। বীরভূমের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ধ্রুব সাহাকে।

পাঁচ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বীরভূমের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই কালোসোনা মণ্ডল সহ জেলার একাধিক নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। গোষ্ঠীবাজি তুঙ্গে উঠেছে।

দলের গোষ্ঠীকোন্দলে ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। ঘাসফুল শিবিরে ভিড়তে পা বাড়িয়ে রয়েছেন আরও অনেক নেতা। সংগঠনে বড়সড় ভাঙন রুখতে শেষ পর্যন্ত জেলা সভাপতিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট