নজরে বাংলা, গেরুয়া বাহিনীর সংগঠন গোছাতে রাজ্যে আসছে আরও ৫ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ। কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধিকে মাথায় রেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যুযুধান দুই পক্ষ। তবে শাসকদলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির।

সেই লক্ষ্যেই শুধুমাত্র রাজ্য নেতৃত্বের ভরসা না করে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার রাজ্যে বিজেপির সংগঠনে আরও পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনে মোট দশজন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাঁধে আপাতভাবে দায়িত্ব দেওয়া হল বিজেপির তরফে।

এদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের বিজেপির সংগঠনের প্রধানরা। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতেই চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

সংগঠনকে সাজাতে কার্যত বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের একটা বড় অংশকেই মাঠে নামাতে চাইছে গেরুয়া বাহিনীর চানক্য অমিত শাহ। এর আগে বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rajibs-over-boundary-is-the-bat-given-by-cm-mamata-banerjee/

ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলির দায়িত্বে থাকা বিজেপির কিংমেকার সুনিল দেওধর জেলায় জেলায় বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন।

রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে বিনোদ সনকর তার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের হরিশ দ্বিবেদী এবং কলকাতার দায়িত্বে থাকা দুষ্মন্ত গৌতম এবং নবদ্বীপের দায়িত্বে থাকা বিনোদ তাওড়ে নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

কারা এলেন নতুন দায়িত্বে?  কী বলছে বঙ্গ বিজেপি?

আরও যে ৫ জন আসছেন তাঁরা পাঁচটি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক।

  • গুজরাতের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ভিখুভাই দালসানিয়া আসছেন নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে।
  • উত্তরপ্রদেশের সম্পাদক (সংগঠন) সুনীল বানসাল দেখবেন কলকাতা জোন।
  • ত্রিপুরার সম্পাদক (সংগঠন) আসছেন উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্বে।
  • হরিয়ানার সম্পাদক (সংগঠন) রবীন্দ্র রাজু দেখবেন রাঢ়বঙ্গ জোনর দায়িত্বে
  • হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর জোনের সংগঠন দেখবেন হিমাচল প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পবন রানা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/narendar-modi-chair-all-party-meeting-on-friday/

এর আগেও কেন্দ্রীয় নেতাদের আসা নিয়ে ‘বহিরাগত’ ইস্যু তুলে বিজেপিকে আক্রমণ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জবাবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জানিয়েছেন, ‘বিজেপি সর্বভারতীয় দল। ভোটের সময় অন্য রাজ্যের নেতারা আসেন। এটাই নিয়ম। এতবড় একটা নির্বাচন আমরা লড়তে যাচ্ছি। এর আগে এতবড় ভাবে লড়াই আমরা করিনি তাই আমাদের কর্মীদের অভিজ্ঞতা কম। কেন্দ্রীয় পার্টির থেকে সহযোগিতা তো চাইবই।’

প্রসঙ্গত, ১৯ হাফ ২১শে সাফ মন্ত্রকে সামনে রেখেই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। জেপি নাড্ডা সর্বভারতীয় সভাপতি পদে থাকলেও সংগঠনের রাশ অমিত শাহ নিজের হাতেই রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে।

সময় যতই এগোচ্ছে ততই স্ট্র্যাটেজিতে বদল আনছে গেরুয়া শিবির। আর কি কি চমক অপেক্ষা করছে সেটা সময় বলবে।

সম্পর্কিত পোস্ট