বিধানসভায় কুড়িয়ে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা, সোমবার দাবিদার মেলে কিনা চোখ রাজ্যের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি যখন সরগরম, ঠিক তখন বিধানসভা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া গেল ৫০ হাজার টাকা। দু’দিন কেটে গেলেও কোনও বিধায়কই সেই টাকাকে নিজের করে নিলেন না।
এখন প্রশ্ন জেগেছে তাহলে টাকাটা কার? ঘটনাটা ঘটেছে বুধবার, সময় তখন বেলা বারোটার আশপাশ। কর্মব্যস্ত বিধানসভা। বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা তখন নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। এক কর্মী ফাইল ও জরুরি কাগজপত্র নিয়ে একঘর থেকে বিধানসভার লবির মধ্যে দিয়ে অন্য ঘরে যাচ্ছিলেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-red-army-demanded-the-release-of-a-chinese-soldier-who-had-entered-indian-territory/
গাড়ি বারান্দার ঠিক কাছেই বিধানসভার ওই কর্মীর নজরে আসে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল পড়ে আছে। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা। ওই কর্মী একসঙ্গে এত টাকা পেয়েও আত্মসাতের বিন্দুমাত্র চিন্তা করেননি। বরং পরিচয় দিয়েছেন সততার।
প্রথমে গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন, কেউ কি টাকার খোঁজ করছিলেন? কিন্তু যখন জানতে পারেন, হারানো টাকার খোঁজে কেউ এগিয়ে আসেননি, তখন তিনি সরাসরি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/mamata-at-ranaghat-to-give-a-message-to-the-matuas-before-shahs-visit/
খবর পৌছে যায় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও সচিব অভিজিৎ সোমের কাছে। ৫০ হাজার টাকার ওই নোটের বান্ডিল আপাতত সচিবের হেফাজতেই রয়েছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দাবিদারকে ওই টাকা সংগ্রহ করতে হবে।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বুধবার সকালে টাকা উদ্ধার হল। কিন্তু দিনভর কোনও দাবিদার নেই। তারপর এতদিন পেরিয়ে গেলেও এই টাকা তাঁর বলে কেউ এখন দাবি জানায়নি। একসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে, অথচ এতদিন পেরিয়ে গেলেও কেউ তার খোঁজ করলেন না। এতেই টাকা-রহস্য দানা বেঁধেছে।
সোমবার আবার বিধানসভা খুলবে এই টাকার খোঁজ কেউ করে কিনা সে দিকে রাজ্যবাসীর নজর থাকবে। এখন সম্প্রতি বিধায়কদের দল বদলের সময় চলছে। তাই এই টাকা কী ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছিল বা এক হাত থেকে অন্য হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠছে।