বাংলা থেকে কৈলাশকে অব্যহতি! কারণ কী?
১৯ এর ফলাফলের পর হঠাৎ কেন বাংলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১৯ এর নির্বাচনে বাংলায় গেরুয়া ঝড় বদলে দিয়েছে রাজনীতির চালচিত্র। তাই একুশের যুদ্ধে নামার আগে রণনীতিতে বদল আনতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে নীচুস্তরের দলীয় সংগঠনে যেমন বদল এসেছে, তেমনই বদল আসতে চলেছে শীর্ষ স্তরেও। আর এর পিছনে মূল লক্ষ্য অন্তঃদ্বন্দের কাঁটা উপড়ে বাংলায় পদ্মের জমি শক্ত করা। শোনা যাচ্ছে, বাংলায় সহ পর্যবেক্ষকের পদ থেক্লে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। বরং নতুন করে গুরুত্ব বাড়তে চলেছে মুকুল রায়ের।
কিছুদিন আগেই বাংলায় বিজেপির সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হয় অমিতাভ চক্রবর্তীকে। দীর্ঘ সময় ধরে আরএসএসের প্রচারক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, অমিতাভ চক্রবর্তীকে দলের সাংগঠনিক পদে আনার পর থেকেই মধ্যপ্রদেশের সংগঠনের ওপর বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। পরিবর্তে বাংলায় বিজেপির সংগঠনের জন্য কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
১৯ এর ফলাফলের পর হঠাৎ কেন বাংলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে? সূত্রের খবর, বিজেপির অন্তঃদ্বন্দ্বের খবর ক্রমশই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। যার জন্য বেশ কিছু জায়গায় সংগঠন রক্ষার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্তরে অস্বস্তিতে পড়তে হয় গেরুয়া শিবিরকে। তাই সরাসরি নজর রেখেই বাংলায় ২১ এর ঘুটি সাজাতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপির একাংশের দাবী, ২১ এর আগে দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের কলহ যেভাবে বেড়ে চলেছিল তাতে ১৯ এর ধারা অক্ষুন্য রাখা কঠিন হত দলের জন্য। তাই রাজ্য নেতৃত্বের ওপর সরাসরি নজর রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এহেন অবস্থায় কোনোরকম গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করবে না দল। এমনকি রাজ্য নেতৃত্বের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এমনিতেই বিজেপির এই আড়াআড়ি লড়াই দলের মধ্যে প্রকট হয়ে উঠেছে। নীচু স্তরের নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির হিমশৈল অবধি বিবাদ প্রকট হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি করায় ব্যাপকভাবে চটেছেন রাহুল সিনহা। তার ওপর অনুপম হাজরাকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়াতে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।
সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কমিটির সমস্ত পদ ভেঙে দেন দিলীপ ঘোষ। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। পরে অবশ্য ফের ফিরে আসেন তিনি। এমনকি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে নিজে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিজেপি নেতা।
এরই মাঝে দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে সংগঠন পদে অমিতাভ চক্রবর্তীকে আনা হয়। এতে বেজায় চটেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এতো কিছুর মাঝে সংগঠন আলগা হওয়ার আগে রাশ ধরতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই ছেঁটে দেওয়া হল কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ডানা।