দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে বিপত্তি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঠিক করার নির্দেশ প্রশাসনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে বিপত্তি, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। রবিবার দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লেকগেটটি ভেঙে যায়। এর ফলে জল বেরিয়ে আশেপাশের এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে, ব্যারেজের মধ্যে জল কমে যেতে পারে বলে উদ্বেগে রয়েছে কর্তৃপক্ষও। ইতিমধ্যে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুর্গাপুর ব্যারেজের মোট ৪০টি লকগেট রয়েছে। ২০১৭ সালে দুর্গাপুর ব্যারেজের ১ নম্বর লকগেটটি ভেঙে যায়। ভয়ানক অবস্থা নেয় আশেপাশের এলাকা। ব্যারেজে জল বেরিয়ে গিয়ে আশেপাশের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। সেই স্মৃতি এখন মুছতে না মুছতে ফের ভাঙল আরও একটি লকগেট।

এদিন ৩১ নম্বর লকগেটটি ভেঙে যায়। শুক্রবার রাতে ওই লকগেটটির একাংশ ভেঙে যায় বলে খবর। সেখান থেকে প্রচুর জলও ইতিমধ্যে বেরিয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে।

দুর্গাপুরের আশেপাশে এলাকাগুলি এই ব্যারেজের জলের উপরই নির্ভরশীল। বিভিন্ন পুর এলাকায় এই ব্যারেজ থেকে জল সরবরাহ করা হয়। এখন জল বেরিয়ে যাওয়ায় নতুন করে ওই এলাকাগুলিতে জল সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/actor-sir-sean-connery-died-on-90/

লকগেট ভেঙে যাওয়ায় ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের অধিকাংশের অভিযোগ, ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকভাবে হলে বারবার লকগেট ভেঙে যেত না।

আগের পরিস্থিতি আঁচ করেই সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। ওই এলাকায় জল সরবরাহ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ডিভিসি। সংস্থার পিআরও সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, দুর্গাপুরের মানুষের জলের কোনও সমস্যা হবে না, তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল আছে, প্রয়োজন হলে তারা দুর্গাপুর ব্যারেজের জন্য তাদের অন্যান্য ব্যারাজ থেকে জল সরবরাহ করবে।

ঘটনায় নজর পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেরও। দ্রুত ওই ব্যারেজ মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তিস্তা ব্যারেজ, ম্যাসেঞ্জার ও কংসাবতী বাঁধও মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তিস্তার মেরামতির কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিতে কাজ চলছে।

সম্পর্কিত পোস্ট