দল অসুস্থতার দোহাই দিচ্ছে, কিন্তু আসল কথাটা কেউ বলতে পারছে নাঃ শীলভদ্র দত্ত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী, তারপর মিহির গোস্বামী এবার শীলভদ্র দত্ত। দলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনছেন দলীয় নেতা থেকে বিধায়ক।
রবিবার দলিয় কর্মীদের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। সেখানে তিনি বলেন, কোনও দিন আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু কোনও কোনও মহলের দাবি মুকুল রায়ের থেকে ৭ কোটি টাকা নিয়েছি। এমনকি তাঁর সঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নাম জড়িয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাম না করে প্রশান্ত কিশোরের সংসস্থার দিকে তোপ দেগে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, একটা বাজারি কোম্পানি টাকা নিয়ে ভোট করাতে এসেছে। রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে। আর বলা হচ্ছে ভোট নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। ভোট আমরা করাবো। খানিকটা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ৯-১০ বছর রাজনীতি করছি। রাজনীতিতে সম্মান অনেক বড়ো। অনেকের মতো আমিও সিড়ি ভেঙে এসেছি।
২০-২২ বছরের কোনও ছেলে যার কোনও অভিজ্ঞতা নেই, সে এসে রাজনীতির জ্ঞান দেবে এটা মেনে নিতে পারব না। সাফ জানিয়ে দেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক।
২০১১ সালে ব্যরাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিতে জয়লাভ করেন শীলভদ্র দত্ত। ২০১৬ সালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখকে সামনে এনে জয়লাভ করেন। কিন্তু ব্যরাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আর লড়াই করবেন না। সাফ জানিয়ে দেন তৃণমূল নেতা। রবিবার বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ভোটে আর দাঁড়াবো না। দল এখন আমার অসুস্থতার দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু আসল কথাটা কেউ প্রকাশ্যে বলতে পারছে না।
১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ক্ষত পুরণ করতে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে নিযুক্ত করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু তাঁদের কার্যকলাপে দলীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২১ এর নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আয়ত্তে না আনতে পারলে এর ফল ভোগ করতে হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে।