গিলগিট-বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশের মর্যাদা দিতে মরিয়া পাকিস্তান, পাল্টা হুঁশিয়ারি ভারতের
পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশের মর্যাদা দিতে চাইছে পাক সরকার। যা নিয়ে ফের ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তরজা। গিলগিট-বালটিস্তানকে অধিগ্রহণ করে তা দখল করতে চায় পাকিস্তান। অবিলম্বে অবৈধভাবে দখল করা সমস্ত এলাকা খালি করতে হবে পাকিস্তানকে। হুঁশিয়ারি ভারতের।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশের মর্যাদা দিতে চাইছে পাক সরকার। যা নিয়ে ফের ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তরজা। গিলগিট-বালটিস্তানকে অধিগ্রহণ করে তা দখল করতে চায় পাকিস্তান। অবিলম্বে অবৈধভাবে দখল করা সমস্ত এলাকা খালি করতে হবে পাকিস্তানকে। হুঁশিয়ারি ভারতের।
অবৈধভাবে দখল রাখার পর গিলগিট বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশ হিসাবে ঘোষণা করতে পারে ইসলামাবাদ। এটা আগেই আন্দাজ করে বিরোধিতায় সরব হয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু ভারতের কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি পাক সরকার। রবিবার গিলগিট-বালটিস্তানকে প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
স্বাধীনতার পর থেকেই ওই এলাকা বেআইনিভাবে দখল করে রেকেছে পাকিস্তান। চলতি বছরে ওই এলাকায় নতুন করে নির্বাচন করার রায় দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হলেও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়ে দেন ১৫ নভেম্বর ওই এলাকায় নির্বাচন হবেই। রবিবার গিলগিট-বালটিস্তানে গিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং নদী বাঁধ সহ একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। যদিও কূটনৈতিক মহলের দাবী পাক সেনাবাহিনীর চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ইমরান খান।
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। তিনি জানিয়েছেন ১৯৪৭ সালের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তান ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতীয় ভূখণ্ডের পরিবর্তনের যে চেষ্টা পাকিস্তান করছে তার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। জবরদখল করে রাখা ওই অঞ্চলের অধিকার পাকিস্তানের নেই। জোর করে এলাকা অধিগ্রহণ করে ওই এলাকার মানুষকে স্বধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সাফ জানিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
কূটনৈতিক মহলের মতে, গত বছরের ৫ই অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা এবং ধারা ৩৫(এ) তুলে নেওয়ায় চাপে পড়তে হয় ইমরান খানের সরকারকে। এই মুহুর্তে পাকিস্তানের বিরোধী জোটগুলি একজোট হয়েছে ইমরান খানের সরকারকে পর্যদুস্ত করার জন্য। তাই শেষ সময়ে গিলগিট-বলটিস্তানের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের পায়ের তোলার মাটি শক্ত করতে চায় ইমরান খানের সরকার।