যতটা মেঘ গর্জালো ততটা বর্ষালো না… শুভেন্দু থাকছেন তৃণমূলেই !
সহেলী চক্রবর্তী, কলকাতাঃ
সমঝদার কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হায় …. এ ধরনের কথা শোনা যায় আমজনতার মুখে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে একটি চমক আসতে চলেছে সেটা বুঝতে বোধহয় আর কারোর বাকি নেই। এখন অপেক্ষা শুধু সঠিক দিনক্ষণের।
একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং জঙ্গলমহলের বেতাজ বাদশা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এই মুহুর্তে ডামাডোল শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। বিগত কয়েক দিন ধরে তার প্রত্যেকটি বক্তৃতা যদি লক্ষ্য করা যায় তাহলেই বোঝা যাবে কিছু একটা ইঙ্গিত করতে চাইছেন তিনি। তবে সেটা কি তা এখনো স্পষ্ট নয়।
নেতা থেকে জননেতা হয়ে ওঠা শুভেন্দু অধিকারী অচিরেই নিজের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই বেশ কয়েকদিন যাবৎ তিনি বিভিন্ন সমাবেশ করছেন, মানুষের উন্নয়নের কাজ করছেন তবে তা কিন্তু রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নয়। অন্যদিকে শুভেন্দুর অনুগামীরা তাঁর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ‘দাদার অনুগামী’ হিসাবে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/when-will-the-local-run-the-decision-is-thursday/
2021 এর বিধানসভা নির্বাচন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াই, ক্ষমতায় পুনরায় ফিরে আসার লড়াই ও নতুন করে ক্ষমতায় আসার লড়াই এসব নিয়েই ক্রমশ দিনরাত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক জটিলতা ঘনীভূত হচ্ছে।
কিন্তু সবাই যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নিজের রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দিয়ে প্রচারে সেখানে কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই মাঝে খবর, সোমবার তিনি কলকাতায় পরিবহন দফতরে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। আজ মঙ্গলবার, তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। তবে কোনোটাই স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি শুভেন্দুর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরে। মুখ খুলছেন দলীয় নেতারা। তবে শুভেন্দু কোনো উত্তর দেন নি। তিনি শুধু বলেছেন ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবসের দিনেই তিনি সবকিছুর উত্তর দেবেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-state-government-is-handing-over-the-rights-of-119-refugee-colonies-to-the-citizens/
তবে ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর দলবদল নিয়ে যে জোর গুঞ্জন চলছে তাতে শাসকশিবিরের অনেক নেতাই সহমত নন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শুভেন্দু দলত্যাগ করলে তাঁকে ছাড়তে হবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্যদের চেয়ারম্যান পদও। কারণ হলদিয়া উন্নয়ন পর্যদের যে লক্ষ লক্ষ টার্নওভার হয় তা দিয়ে জঙ্গলমহলের বেশ কিছু জেলার উন্নয়নের কাজ চলে। অতীতে এই এক কাজই করতেন লক্ষ্মণ শেঠ।
সেসময় লোকের মুখে মুখে ফিরত রাজ্য কমিটি চলত লক্ষ্ণণ শেঠের পয়সায়। প্রসঙ্গ এই কারণেই উঠে এল, কারণ হলদিয়ার মাঠি অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ উর্বর। দল ছাড়লে শুভেন্দুর ভাঁড়ার যে শূণ্য হবে তাতে সন্দেহ নেই।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরের এক বিধায়ককে ফোন করেছিলন। আক্ষেপের সুরে জানতে চেয়েছেন সব দেওয়ার পরও শুভেন্দুর অভিমানের কারণ কী? তাই আপাতভাবে মনে হচ্ছে শুভেন্দুর মান ভঞ্জনে স্বয়ং মাঠে নামবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।হয়ত সে দৃশ্যই খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাবে আপামোর পশ্চিমবঙ্গবাসী।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/eight-bjp-candidates-got-ticket-from-uttarpradesh/
ওয়াকিবহল মহলের মতে, শুভেন্দু রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করবেন না। হয়ত কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন। এক্ষেত্রে তাই বলাই যায়, মেঘ যতটা গর্জালো ততটা বর্ষালো না। হয়ত সমুদ্রের পাড়ের নোনা হাওয়ার গুমোটভাব কাটাতে বৃষ্টি হবে। তবে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছেন বিরোধীরা সেটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
উল্লেখ্য, যে বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন তাঁর কথাতেই স্পষ্ট যে ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি সিট তৃণমূলের ঝুলে রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দুর পাশাপাশি সেই বিধায়ককেও জেলার দায়িত্ব দিতে চান। অতএব যে জঙ্গলমহল লোকসভা নির্বাচনে মুখ খুবড়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির, সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে বাড়তি নজর দিতে চান তিনি। তাই জ্বলতে থাকা আগুনে খুব শীঘ্রই জল ঢালতে দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রীকে, মত রাজনৈতিক মহলের।