মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সদর্থক, দাবি বিনয় তামাংয়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জিটিএ’র প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুংয়ের রাজনৈতিক ডিগবাজি এক লহমায় বদলে দিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। কিন্তু একসময়ের সতীর্থকে যে ফের পাহাড়ের মাটিতে ঘাঁটি ঘাড়তে দিতে নারাজ বিনয় তামাং-অনীত থাপারা, মঙ্গলবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দুই নেতাই।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে গুরুং বিরোধিতায় অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন তামাং-থাপা জুটি। তবে এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে বৈঠক সদর্থক হয়েছে বলে জানিয়েছেন দু’জনেই। যদিও এদিন বিনয় তামাং-অনীত থাপাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে ভাল চোখে নেননি বিজেপি নেতারা।
মুকুল রায়-কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা মমতাকে লক্ষ্য করে তোপ দেগে বলেছেন, ‘পাহাড় আবার জ্বলবে। পাহাড়ে সমস্যা তৈরি করছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ই।’ যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিমল গুরুং এনডিএ ছাড়ায় কার্যত আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি ও পাহাড়ের অন্তত ১০ আসনে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়েছে। পায়ের তলার মাটি আলগা হয়েছে বুঝতে পেরেই নয়া রাজনৈতিক কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতারা।
দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পরে গত পঞ্চমীর দিন প্রকাশ্যে এসেই এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা বিমল গুরুং। আর তাঁর পাহাড়ে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হতেই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন পাহাড়ের জনবিচ্ছিন্ন দুই নেতা বিনয় তামাং ও অনীত থাপা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/nitish-kumar-attacked-by-onion-in-madhubani/
গত লোকসভা ভোটে যারা পাহাড়ে বিজেপির জয়রথ রুখতে পারেননি সেই দুই নেতাই অস্তিত্ব বাঁচাতে গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।
আর পাহাড়ে ফের গেরুয়া শিবির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বুঝতে পেরেই এদিন নবান্নে বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবনে পাহাড়ের দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাজির ছিলেন। প্রায় মিনিট কুড়ি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, পাহাড়ে বিজেপি নতুন করে অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে তামাং-থাপাদের সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে পাহাড়ে জিটিএ’র বাকি উন্নয়নমূলক কাজকর্মে গতি আনার পরামর্শও দেন। টাকার জন্য যাতে উন্নয়নের কাজকর্ম আটকে না যায়, তার জন্য জিটিএ’র প্রধান সচিব সুরিন্দর গুপ্তকেও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাহাড়ের দুই নেতার সঙ্গে এদিনের বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী কিংবা মুখ্যসচিব। তবে বৈঠকের পরে সল্টলেকের গোর্খা ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিনয় তামাং জানান, ‘মূলত জিটিএ’র কাজকর্ম নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/chatradhar-mahato-wife-former-mp-ritabrata-is-now-child-care-commission/
উন্নয়নের কাজকর্মের জন্য ১৭৫ কোটি টাকা চেয়েছি। তাছাড়া পাহাড়ে কীভাবে শান্তি বজায় রাখা যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে। বৈঠক যথেষ্টই ইতিবাচক।’ শুধু কী জিটিএ নিয়ে বৈঠক নাকি পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন নিয়েও আলোচনা হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন নিরীহ প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি।
ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বিমল গুরুং নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। তাছাড়া কে বিমল গুরুং? ওকে এত কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন আপনারা? আমাদের সিলেবাসে গুরুং নেই। ও ক্লোজড চ্যাপ্টার। ওর (গুরুং) নামে ১৬০টি মামলা রয়েছে। কোর্ট বলেছে অফেন্ডার।’
সূত্রের খবর, প্রশাসনিক বৈঠক শেষে আলাদাভাবে বিনয় তামাং ও অনীত থাপাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কী নিয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পাহাড়ের দুই নেতা।