তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অগ্নিগর্ভ কোচবিহারের দিনহাটা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সাতসকালেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। দুই দলের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ দিনহাটার শালমারা বাজার এলাকা । জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাজার সহ একাধিক এলাকা। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।

সূত্রের খবর, দিনহাটার শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিনহাটা ২ নং ব্লকের শালমারা বাজার এলাকা। ঘটনায় পোড়ানো হয় একাধিক বাইক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে সাহেবগঞ্জ থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। তবে বাইক কারা পুড়িয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

ঘটনায় আহত হয়েছে দুই দলের সদস্য। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখনও অবধি আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে দ্য কোয়ারি। তিনি বলেন, আমার এবিষয়ে কিছু বলার নেই। তবে আমি পুলিশের কাছে জানিয়েছি যারা মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করবে তাঁদেরকে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি ভীতি কাটিয়ে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ যা ব্যবস্থা নেবে নিতে পারে।

এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতিতে বেশ কয়েকদিন খবরের শিরোনামে রয়েছে কোচবিহার। গত মাসেই ব্লক স্তরের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র ক্ষোভ জমায় সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে নেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এছাড়াও বুথ স্তর থেকে শুরু করে জেলা কমিটি সদস্যদের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়তে দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে চাপা উত্তেজনা ছিল এলাকার মধ্যে যা শুক্রবার বড়ো আকার নেয়।

অন্যদিকে কোচবিহারে শাসক দলের গোষ্ঠি কোন্দল নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলা বিজেপির সভাপতি মালতি রাভা। তিনি বলেন, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উদয়ন গুহ এবং বিরোধী গোষ্ঠির মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনা প্রায়শই লেগে রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকা কার দখলে থাকবে তাই নিয়ে গোষ্ঠিকোন্দল চলেছিল। ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে মানুষ শান্তির পক্ষে বার্তা দিয়ে বিজেপিকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আবারও বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।

তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়কে কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, পার্থ রায় এই মুহুর্তে ৮ জন বিধায়কদের মধ্যে মুষ্টিমেয় বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে চলছেন। যার ফলে দলের বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। জেলায় দ্রুত শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে শান্তি ফেরানোর জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতির কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

মালতি রাভা আরও বলেন, প্রশাসন এই মুহুর্তে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপিকে ডেপুটেশন দেওয়া থেকে আটকানো হচ্ছে। আর সমস্ত ঘটনায় বিজেপিকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মানুষ শান্তি চাইছে।

সম্পর্কিত পোস্ট