ভোট রাজনীতিতে দলিতদের ব্যবহার করছেন অমিত শাহ: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এসে দলিতদের রাজনীতির ঘুঁটি করছেন। শুক্রবার এই মর্মে সরব হয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ‘ভোজনের রাজনীতি’ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ করেছেন, বাংলার ভোটে দলিতদের ব্যবহার করছেন তিনি। উল্লেখ্য, দুদিনের সফরে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সফরে বৃহস্পতিবার তিনি মধ্যাহ্নভোজ সারেন বাঁকুড়ায় আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে। আর এ দিন তাঁকে মধ্যাহ্নভোজনের দেখা যায় নিউটাউনের এক মতুয়া পরিবারের বাড়িতে। এই বিজেপির এই ‘ভোজন রাজনীতিকেই’ নিশানা করেছেন অভিষেক।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, তফসিলি ও সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন শাহ।

শুক্রবার এক ট্যুইট বার্তায় শাহকে বিঁধে অভিষেক লিখেছেন, ‘ তফসিলি ও সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী ওই পরিবারগুলোর সঙ্গে একবারও কথা বলারও প্রয়োজন বোধ করা হয়নি। এটাই অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজনের নেপথ্যের বাস্তব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- আপনি কি শুধু ছবি তুলতে এখানে এসেছেন?’

আসলে দলীয় কর্মসূচিতে দু’দিনের সফরে বাংলায় এসে যেভাবে অমিত শাহ বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেন এবং শুক্রবারও কলকাতায় মতুয়া এক পরিবারের বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার খান তাতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, শাহের হাত ধরেই রাজ্যে ফের শুরু হল ‘মধ্যাহ্নভোজন রাজনীতি’।

বছর তিন আগে তৎকালীন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে নিজের হাতে রান্না করে খাইয়েছিলেন নকশালবাড়ির আদিবাসী চা শ্রমিক গীতা মাহালি। কিন্ত তারপর থেকেই বিজেপির কোনও নেতা মাহালি পরিবারের খবর নেননি বলে অভিযোগ। রীতিমত রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির শিকার হন মালালিরা। শাহের সফরের মধ্যেই বৃস্পতিবার সেই গীতা মাহালিকে হোমগার্ডে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

এবারও সেই উপেক্ষার কথাই আফশোসের সুরে ফুটে উঠেছে বাঁকুড়ার আদিবাসী বিভীষণ হাঁসদার কথায়। এই বিভীষণের বাড়িতেই বৃস্পতিবার মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির সদস্যদের নিয়ে গ্রুপ ছবি তোলেন। চারিদিক থেকে ক্যামেরার ঝলকানির শব্দে তখন মুখরিত আদিবাসী পাড়া।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bihar-election-2020-last-phase-78-seats/

সব মিটতেই বিভিষণ হাঁসদা বলেন, “সময় আর কোথায়! কথাই হল না তো। চাইবার তো ছিল। এখন আর বলে কী হবে।”এদিন অভিষেকের কথায় তাই কটাক্ষ হয়ে উঠে এসেছে।

গত লোকসভায় এ রাজ্যে আদিবাসী, দলিতের ভোটে প্রভাব ফেলেছিল বিজেপি। লোকসভার সেই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া শীর্ষ এই বিজেপি নেতা। কিন্তু, প্রতিপক্ষের মধ্যাহ্নভোজন যে আসলে লোক দেখানো এ দিন সে কথাই স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট