বাংলার উর্বর মাটিকে পাঁকে পরিবর্তন করতে চাইছে বিজেপিঃ রথীন ঘোষ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলারমাটি, উর্বর মাটি, শস্য শ্যামলা বাংলা, সেই বাংলার উর্বর মাটিকে পাঁকে পরিবর্তন করতে চাইছে বিজেপি। পদ্ম ফোটাতে চাইছে। বাংলার মানুষ বেছে নেবে কোনটা সঠিক। মধ্যমগ্রামের এক সাংবাদিক ঠিক এভাবেই অমিত শাহের বঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করলেন উত্তর 24 পরগনার মুখপাত্র রথীন ঘোষ।
রথীন ঘোষ আরও বলেন, অমিত শাহ বাংলায় এসে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। এর আগেও জেপি নাড্ডা শিলিগুড়িতে এসেছিলেন বিজেপি কর্মীদের উৎসাহিত করতে। বাংলায় এখনো পদ্মফুলের সৃজনশীলতা ঘটেনি। কারণ পাঁকেই তো পদ্মফুল হয়। এখানে একটু পরিস্কার আছে বলে, পদ্ম টা ভালো করে ফুটছে না। পাঁক তৈরি করতে না পারলে পদ্ম ফুল ফোটানো যাবে না। সেই জন্য তারই একটা পঙ্কিল আবর্ত তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল থেকে মাঝে মাঝে মন্ত্রীরা ও বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ আসছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অমিত শাহের তোলা অভিযোগ নস্যাৎ করে তিনি বলেন, বাংলায় সবকিছু ভালো বলে, বাংলাকে ঘোরার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আর অভিযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/amit-shah-is-using-dalits-in-voting-politics-abhishek-banerjee/
এবারের বঙ্গ সফরে অমিত শাহ দাবি করেন এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০টি আসন পাবে। তাঁর সেই দাবিকে অলীক স্বপ্ন বলে কটাক্ষ করেন রথীন ঘোষ। তাঁর কথায়, বিগত লোকসভা ভোটে ১৮ টি আসন বিজেপি পেয়েছিল। সেই জন্য তিনি বলছেন বিধানসভা ভোটে ২০০ আসন পাবে। বলে দিতে তো অসুবিধা নেই, পাবেন কি করে সেটা তো পরিষ্কার বলছেন না। সংখ্যা বলে কোন লাভ নেই, বিধানসভায় বাংলার মানুষই রায় দেবে।
এদিন বিজেপির মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণে মতুয়া সংঘের জল ও মাটি গ্রহণ করা হয়নি। এটা সবথেকে বড় অপমানকর। এই ঘটনা মতুয়া সম্প্রদায়কে আঘাত করেছে।
রথীন ঘোষ বলেন, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা হয়েছিল। নাগরিকত্ব যাদের আছে তাদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারটা আমরা বুঝিনি তখন ভালোভাবে। কারণ এই মতুয়াদের ভোটই তো নির্বাচিত হয়ে গেছে সরকার। তারা তো ভোট দিয়েছে, তারা এদেশের নাগরিক না হলে তো ভোটাধিকার থাকে না। এই বিভ্রান্তিকর প্রচার করে, যে আমরা তাদের নাগরিকত্ব দেবো এই কথাটা বলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছিল। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সবটাই দেখেছেন তারাই নির্ধারণ করবেন আগামী দিনে তাঁরা কী করবেন..।