তপসিয়ায় সব হারানো বস্তিবাসীদের সরকারি বাড়ি দেবে কলকাতা পুরসভা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তপসিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় ৮০টি পরিবার। এবার সেই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে কলকাতা পুরসভা পরিবারগুলিকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পাকা ঘর তৈরি করে দেবে। আলোর উৎসবের আগে ওই পরিবারগুলিকে এই সুখবর দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
যদিও এই ঘটনার জেরে বিরোধীরা পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে যে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি সেচ দফতরের জমিতে খালপাড়ের ধারে জবরদখল করে আস্তানা তৈরি করে বসবাস করছিল। তাঁদের জন্য কেন সরকারি অর্থ ব্যায় করা হবে!
যদিও ফিরহাদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সবাইকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। সেই সুবাদেই পুরনিগম সেচ দফতরের জমিতেই ওই বাড়ি তৈরি করে দেবে বলে ফিরহাদ জানিয়েছেন।
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘পাকা বাড়ি হলে আগুন লাগার ভয় অনেকটা কমবে। সবাইকে ফ্ল্যাট বাড়িতে সরিয়ে দেওয়া হবে। শহরের এমন বসতিবাসীকে বিশেষ প্রকল্পে বাংলার বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।’
তবে কবে থেকে এই বাড়ির কাজ শুরু হবে তা এখনও জানাতে পারেননি কলকাতা পুরনিগমের আধিকারিকরা। এদিকে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে বেশ জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত দমকলের তরফে যেমন কোনও এফআইআর করা হয়নি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/mamata-banerjee-called-tejaswi-yadav-after-bihar-election-result/
তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুরনিগমের তরফে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণেই। একই সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক মন্ত্রী জাভেদ খানও। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ঝুপড়ির মধ্যেই একটি ছোট মাপের বেআইনি রাসায়নিক কারখানা গড়ে উঠেছিল।
সেই কারখানার ভিতরেই ছুঁড়ে ফেলা কারও সিগারেট টুকরো থেকে প্রথম আগুন লেগেছে। কোনও একটি রাসায়নিকের পাত্র বা রঙের ড্রাম জাতীয় আধারে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে আকাশের দিকে ছিটকে যায়। আর সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে খালপাড় বস্তিতে।