২১ এর আগে দলকে বাঁধতে পারেন ম্যানেজমেন্টের ছাত্র রাজীব, বলছেন দলেরই একাংশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচন। ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা গিয়েছে বিহারে গেরুয়া শিবিরের ভীত আগের মজবুত হয়েছে। এরপরেই গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বরা যেকোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান অথবা কোনো শুভেচ্ছাবার্তা-সর্বত্রই ঘনঘন হুঙ্কার ছাড়ছেন ২১ এ বাংলা দখলের।
এসব হুঙ্কারের মোকাবিলা বাংলার শাসক শিবিরের লোকজন করছেন। তবে তলায় তলায় ঘাসফুলের মাটিতে যে বিপ্লব শুরু হয়েছে তার আভাস অনুধাবন করাই যাচ্ছে। বাংলার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এখন শুভেন্দু অধিকারী।
সমস্ত সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছে মুখরোচক বিষয় শুভেন্দু অধিকারী। তার অনুগামীরা দাদার সঙ্গে থেকে বিদ্রোহ শুরু করেছেন। তবে কার বিরুদ্ধে কীসের বিদ্রোহ তা স্পষ্ট নয়।
শুভেন্দুর এমন আচরণে তার সতীর্থরাই প্রশ্ন তুলছেন আর কী কী চাই? বংশ পরম্পরায় অধিকারী পরিবার যা পেয়েছেন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এই বাংলায় অনেকেই তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তার অন্যতম উদাহরন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সুরে সুর মিলিয়েছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশও। ম্যানেজমেন্টের ছাত্র, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী, স্পষ্টবাদী এবং কর্তব্যপরায়ণ সর্বোপরি এক কথার মানুষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত রাজনীতিবিদ বর্তমানে যেকোনো রাজনৈতিকদলে অমিল। এমন একজন সম্পদ তৃণমূলে থেকে স্বয়ং নেত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে দেওয়া হল না তার যোগ্য-প্রাপ্য সম্মান।
শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থকরা দাদার অনুগামী হয়ে বিদ্রোহ করছেন বটে, তাই বলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী নেই –তা কিন্তু নয়। তার তুখোর রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ যেমন প্রশংসিত হয় তেমনি তার গানের তালে মাথা নাড়াতেও বাধ্য হয়েছে অতিবড় নিন্দুকেরা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/you-are-undefeated-in-the-heart-of-bengalis-even-after-losing-the-battle-of-life/
পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল, গ্রাম থেকে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় রাজীবের কন্ঠে ‘হিন্দুস্তান মেরি যান’ গানের পোস্টার পড়েছিল রাজ্য জুড়ে। তার নেপথ্যে ছিলেন রাজীবের অনুগামীরা। সদ্য তৃণমূলী রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যুবক-যুবতীদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তাদের আইকন রাজীব বন্দ্যেপাধ্যায়ও।
সম্প্রতি তিনি অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাবিনেট বৈঠকে। সেখান থেকেই তাকে নিয়ে জল্পনার সূত্রপাত। হঠাৎ করেই রাজীব কেন চুপ করে গেলেন তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে? তা নিয়েও শুরু হয়েছে জলঘোলা।
ওয়াকিবহল মহলের মতে, তৃণমূলের অন্দরে তৈরী হওয়া অস্থির পরিস্থিতির জন্য দায়ী সেই দলের নেতৃত্বরা। অভিযোগ যখনই কেউ মন্ত্রীত্ব পেয়ে তার কাজের মাধ্যমে প্রশংসিত হন, জনমানসে তৈরী হয় তার গ্রহনযোগ্যতা তখনই তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টা অনেকটা ‘ডানা ছেঁটে ফেলার মত’। ব্যাতিক্রম নন রাজীব বন্দ্যেপাধ্যায়ও।
সেচমন্ত্রী থাকা কালীন তার কাজ সারা ফেলেছিল বাংলা জুড়ে। ছদ্মবেশে ধরেছিলেন বালি পাচারকারীদের। বিভিন্ন ব্যারেজ পরিদর্শন করে তা সারাইয়ের কাজও তিনি করেছিলেন। দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভাঙার পর ২০১৭ সালে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করিয়েছেন রাতারাতি। যা এবারের বিপর্যয়ের পর বারবার বলেছেন বাংলার আমজনতা।
তিনি সেসময় মোট ১১ টি গেট নতুন করে করার কথা বলেছিলেন। তারপর হঠাৎই তার মন্ত্রক পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। এরপরের ঘটনা সকলেরই জানা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-chief-minister-expressed-his-condolences-on-the-demise-of-the-legend-saumitra-chatterjee-death/
ওয়াকিবহল মহলের মতে, ২১ এর নির্বাচনে এখনো সময় আছে। তার আগে নেত্রীর অবশ্যই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিৎ। সংগঠন নতুন করে যখন ঝাড়াই বাছাই করছেন তখন অবশ্যই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংগঠিক স্তরে গুরু দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ।
ভুলে গেলে চলবে না রাজীবের নেতৃত্বে উপনির্বাচনের জয়। সেই সঙ্গে তৃণমূলের অনেকেরই সাংসদ ও দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকার নেপথ্যে রাজীবের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তাই এখনো সময় আছে। ভাঙছে দল। মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেখানে রাজীবই পারবেন তার ম্যানেজমেন্ট কেরিয়ারকে কাজে লাগিয়ে দলকে হারানো জমি ফিরিয়ে দিতে। নাহলে ২০২১ এ অঙ্কুরেই বাংলার মাটি থেকে বিনাশ হতে পারে ঘাসফুলের।