তেহট্টে শহিদ সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্য নিয়ে খোঁচা রাজ্যপালের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পাক গোলাবর্ষণে নিহত নদিয়ার জওয়ান শহিদ সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্য ঘিরেও চলছে বিতর্ক। নিহত জওয়ানের শেষকৃত্যে বিজেপি সাংসদকে আটকানোর অভিযোগ নিয়ে ট্যুইটারে রাজ্য সরকারকে ফের আক্রমণ করলেন জগদীপ ধনকর।

শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সময়ে খোদ বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বুধবার ট্যুইট করে রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়েও।

নিজের যোগ্যতায় অল্প বয়েসেই সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিলেন নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ। বিয়েও করেছিলেন তিনি, মেয়ের বয়স মাত্র তিন মাস।

জুলাই মাসে শেষবার ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন সুবোধ। বলে গিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে আবার আসবেন। কিন্তু সেকথা আর রাখতে পারলেন না! শুক্রবার কাশ্মীরে সীমান্ত লাগোয়া চারটি জায়গায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে অতর্কিত হামলা চালায় পাক সেনা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/after-mihir-jagadish-chandr-basunia-talking-against-trinomool/

শহিদ হন চারজন ভারতীয় জওয়ান। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নদিয়ার সুবোধ ঘোষও। রবিবার রাতে শহিদের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছতেই পাকিস্তান বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা গ্রামে।

ছেলের মৃতদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় একটি স্কুলের মাঠে গান স্যালুটের পর পলাশি শশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় এই বাঙালি জওয়ানের।

এদিন এ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের ট্যুইট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে পুলিশের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই। পলাশি শ্মশানে নিহত জওয়ান সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্যে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে, সেই সম্পর্কে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে রিপোর্ট চাইছি।

রাজ্যপাল টুইটে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছে। এমন একটি অনুষ্ঠানে শাসকদলের সাংসদ যেখানে অতিথি সেখানে বিরোধীদলের সাংসদকে চোখ রাঙানো হচ্ছে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে উর্দিধারী পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক পরিণতি হওয়া উচিত। সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিকভাবে কাজ করলে তাদের আইনের কোপে পড়তে হবে।

পাশাপাশি, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে উদ্দেশ্য করে রাজ্যপাল লিখেছেন, রাজ্যের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া নিয়ে আপনার তরফে কী বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু প্রশাসনের কেউ উর্দিধারীদের এধরনের সীমালঙ্ঘন দেখলে চমত্কৃত হবে।

গত কয়েকমাস ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ইস্যুতে তোপ দাগছেন ধনকর। পাল্টা, রাজ্যপালকে এখানে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টায় অভিযুক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে এদিন এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, রাজ্যপাল বিজেপি মুখ্যপাত্রের মতো আচরণ করছেন তাঁর বক্তব্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দিয়ে তাঁর গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে না তৃণমূল।

সম্পর্কিত পোস্ট