হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফোন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও মজবুত করতে হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে নয়াদিল্লি যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের কথা মঙ্গলবার টুইট করে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, আগামী দিনে কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি পালনের লক্ষ্যে দুজনেই অঙ্গীকারবদ্ধ। কোভিড মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ইন্দো-পেসিফিক অঞ্চলের সহযোগিতা নিয়ে হবু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে লেখেন প্রধানমন্ত্রী।

 

২০১৪ সালে আমেরিকা সফরে বাইডেনের সঙ্গে শেষবার সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নবনির্বাচিত কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটে নরেন্দ্র মোদি লেখেন, তাঁর সাফল্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের কাছে গর্বের বিষয়।

 

উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের পুরানো সখ্যতা থাকলেও মোদি এবং ট্রাম্পের সময়কালে তার দুরত্ব আরও কমে যায়। ২০১৯ সালে মোদির আমেরিকা সফরে ‘হাউডি মোদি’ এবং  চলতি বছরে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ এর জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বিদেশনীতি, সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে একে অপরের পাশে থেকে ভারত-আমেরিকা। একইসঙ্গে অনুপ্রবেশকারী নীতিতে একই অবস্থানে থেকেছে দুই রাষ্ট্র নেতা।

চলতি বছরেই ট্রাম্পকে পরাজিত করে ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের পরেও কি আমেরিকার সঙ্গে একই সখ্যতা বজায় থাকবে? অভিবাসন নীতি নিয়ে কি পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি? অন্যদিকে এইচ ওয়ানবি ভিসার ক্ষেত্রে জো বাইডেন আর একটু শিথিল হলে তা নয়াদিল্লিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। যদিও জো বাইডেনের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপনে ভারতের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আশ্বস্ত করেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

সম্পর্কিত পোস্ট