বিজেপি শাসিত রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এগিয়ে, জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সদর দফতরের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন বিজেপিকে সরাসরি নিশানা করে ফের গুজরাতের সঙ্গে বাংলার তুলনা করলেন তিনি। বিগত  ৯ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন হয়েছে ও তা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এই প্রতিটি উন্নয়নে বাংলার মানুষ নেত্রীর পাশে রয়েছেন।

ইতিমধ্যেই জোন হিসাবে ভাগ করে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাঁধে নির্বাচনের দায়িত্ব তুকে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপিকে কটাক্ষ করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বহিরাগতরা বাংলায় আসছে। বাংলা সব ধরণের মানুষকে স্বাগত জানায়। কিন্তু বহিরাগতরা যদি তাদের অদ্ভুত স্বপ্ন কে বাস্তবায়িত করবে বলে লাল চোখ দেখান তাদের বাংলার মানুষ মেনে নেবেন না ।বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্য সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই, বাংলার গ্রাম  বা বাংলার মানুষ কিছুই চেনেন না ওনারা। তারা যদি এখানে শিক্ষার্থী হয়ে আসেন অসুবিধা নেই, যদি এই তীর্থস্থানে তীর্থযাত্রী হিসেবে আস্তে চান আমাদের আপত্তি নেই |

আরও পড়ুনঃ রামনগরের মঞ্চ থেকে দলবদলের বিতর্কে জল ঢাললেন শুভেন্দু নিজেই

এদিন বাংলার সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবার তুলনা করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দফতর মুখ্যমন্ত্রী নিজের দায়িত্বে রেখেছেন। এই দফতরের সাফল্যের কিছু খতিয়ান আপনাদের দেব। ২০১১ সালে রাজ্যে বেড ছিল ৫৮০০০ টি। এখন রাজ্যের বেড বাড়ানো হয়েছে ২৭০০০ এর বেশি। এই মুহুর্তে রাজ্যে বেড রয়েছে  ৮৭৬৫০ টি।উত্তরপ্রদেশে বেডের সংখ্যা ৭৬২৬০, কর্নাটকে বেডের সংখ্যা ৬৯৭২১, মধ্যপ্রদেশ ৩১১০৬, গুজরাতে বেডের সংখ্যা ২০,১৭২।

২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বেড়েছে ৬.৮%। বাংলায় বাজেট বেড়েছে ৭১৫ কোটি , মধ্যপ্রদেশে ৪০৩ কোটি। রাজ্যের গ্রামীণ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক লগ্নী হয়েছে ৪০৮৪ কোটি টাকা। বাংলা ছাড়া অন্য কোন রাজ্যে সমস্ত স্টোরে চিকিৎসা বিনামূল্যে পাওয়া যায়? প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন, উত্তরপশ্চিমের একটি রাজ্যতেও ব্লাড ব্যাঙ্ক নেই। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই গড়ে উঠেছে।

এমনিতেই আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। কেন্দ্রের এই প্রকল্প থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে স্বাস্থ্যসাথী চালু হয়েছে। আর আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে।

দেশের ১৩০ কোটি মানুষের পরিবর্তে কেবলমাত্র ৫০ কোটি মানুষ এই সুবিধা দেওয়া হবে। ১০ কোটি মানুষ আয়ুষ্মান ভারত এর কার্ড করেছেন । কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কোনও লিমিটেশন নেই। রাজ্যের প্রায় ৭ কোটি মানুষ এই কার্ড ব্যবহার করছেন বলে স্পষ্ট করেন তিনি। কেন্দ্র সরকার কার্ড তৈরি করার জন্য ৩০ টাকা করে নেয়। কিন্তু রাজ্য সরকার কারোর থেকে কোনও টাকা নেয় না।

সম্পর্কিত পোস্ট