পরিবেশ বাঁচাতে দুই সরোবরে ছট পুজো রুখতে মরিয়া প্রশাসন
দ্যা কোয়ারি ওয়েব ডেস্ক: করোনা মহামারী মধ্যে এ বছরে আর ছটপুজোর জন্য ব্যবহার করা যাবে না কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর। এই দুই জলাশয়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছট পূজার ওপর গ্রিন ট্র্যাইব্যুনালের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কেএমডিএ-র করা মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে।
সেই শুনানিতে কেএমডিএ-র আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ইউ ললিত। সঙ্গে জানান আগামী ২৩ নভেম্বর বিচারপতি ফালি নরিম্যানের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে।
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও আজ সকাল থেকে রবীন্দ্র সরোবরের তিন নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন পুণ্যার্থীরা। উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঢুকতে না দিলে রাস্তায় বসে পুজো করার হুঁশিয়ারি দেন কয়েকজন।
তাদের দাবি এ বছরের মতো তাদেরকে পুজো করতে দিতে হবে। কোর্টের নির্দেশিকা সত্বেও সকাল থেকেই গা-জোয়ারি করছেন পুণ্যার্থীরা।
তাদের কথায় ৬ ঘণ্টা সময় আমাদের সময় দিতে হবে। ৬ ঘণ্টায় পরিবেশ দূষণ হয় না। পাশাপাশি রবীন্দ্র সরোবর এর গেটের বাইরে বসে ছট পুজো করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এই ঘটনার পর সুভাষ সরোবর যথেষ্ট নিরাপত্তা বাড়ি দেওয়া হয়েছে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে আদালতের নির্দেশ বহাল রাখতে সব রকম ভাবে চেষ্টা করবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সরোবরে ছট পূজার আয়োজনের ওপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। গত ১০ নভেম্বর সুভাষ সরোবরেও ছট পূজায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট।
এক্ষেত্রে গ্রিন ট্র্যাইব্যুনালের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে নির্দেশ দেয় রাজ্যের শীর্ষ আদালত।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘গত বছরের মতো এবারও রবীন্দ্র সরোবরে ছট পূজা নিষিদ্ধ করেছে আদালত। আমরা সাধারণ মানুষকে অন্য জলাশয়ে ছট পূজা করার অনুরোধ করে প্রচার চালাব।’
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ সত্বেও গত ২ বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পূজা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এবারেও কার্যত নির্দেশিকা অমান্যের পথেই হাঁটতে দেখা গেল মানুষকে।
এদিকে, রাজধানীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ শুরু হয়ে যাওয়ায় ঘাটে গিয়ে ছটপুজোর উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে দিল্লির সরকার।
যদিও কলকাতায় সেই পথে হাঁটছে না প্রশাসন। যেদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ছট পূজার ৩ দিন পরে।