বাংলায় বিস্ফোরণ হলেই জঙ্গিবাদ দেখতে পাচ্ছে বিজেপি: ব্রাত্য বসু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মালদার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক তরজা চলছে। শুক্রবার তা নিয়েই সরব হলেন রাজ্যর মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু।
তাঁর মতে বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলেই জঙ্গিবাদের গন্ধ পায় বিজেপি। আসলে এসবের মাধ্যমে বাংলাকে ছোট করতে চায় বিজেপি। এর পিছনে তাঁদের খেলো রাজনীতি রয়েছে।
এদিন উদাহরণ হিসাবে গুজরাটের একটি ঘটনাকে টেনে আনেন তিনি। ব্রাত্য বসুর কথায়, গুজরাতের ভারুচে একটা ব্লাস্ট হয়েছিল তাতে ৪ জন মারা যায় ২৩০ জন আহত হয়, সেখানে আমরা কোন নাশকতা খুঁজতে যাইনি। কারণ সেটা ছিল একটা দুর্ঘটনা। এই ঘটনা হতেই পারে। অথচ বাংলায় বিস্ফোরণ হলেই তার পিছনে জঙ্গিবাদ দেখতে পাওয়ার খেলো রাজনীতি আছে। কারণ ওনারা এখানে সাম্প্রদায়িক পোলারাইজেশন চাইছেন, তাই বারবার একথা বলছেন।
এদিন রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যপালের বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই। উনি টুইট করছেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন করুক, ওনাকে নিয়ে কিছু বলার নেই। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আছেন, বিয়টি স্বরাষ্ট্র দফতরর দেখছে।
এদিন বাঙালির ওপর বহিরাগত সাংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে,বহিরাগত কর্তৃক বাংলা আক্রমণ, বাংলার সংস্কৃতি না বোঝা। বাংলার নাড়ি না বোঝা, এই ধরণের বহিরাগতরা বাংলায় এসে ঘোরাফেরা করছে, যারা রবীন্দ্রনাথ, বিরসা মুণ্ডাকে চেনে না। এরা শুধু বাংলা ও বাঙালিকে নানাভাবে ছোট করছে। আমরা বলব এই বহিরাগত তান্ডব আসলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার এক পরম্পরা ।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/suvendu-adhikari-vs-kalyan-banerjee-fight/
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একজন বাঙালিকে তার মন্ত্রিসভায় রাখছেন, তার নাম অরুণ মুজুমদার। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্ব বাংলার প্রতিফলন। সংকীর্ণ আমরা বাঙালির চিন্তাভাববনা এটা নয়। আন্তর্জাতিক সূত্রে বাঙালিকে বোঝা। আন্তর্জাতিক স্তরে বাঙালিকে নিয়ে যাওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্ববাংলার অর্থ, বাংলার মুখ দিয়ে দেশকে দেখা, দেশের মাধ্যমে পৃথিবীকে দেখা, আন্তর্জাতিক স্তরে আজ বাংলাকে তুলে ধরা হচ্ছে।
তাঁর মতে, একমাত্র রাজ্য বাংলা, যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত বাঙ্গালিয়ানায় মুগ্ধ হয়েছেন- কিন্তু দিল্লি তা পারে না। ৭ বছর ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোন পূর্ণ বাঙালি ক্যাবিনেট মিনিস্টার নেই, হাফ প্যান্ট পড়া মন্ত্রীদের রেখে দিয়েছে।