চারদিনের বাঁকুড়া সফরে মুখ্যমন্ত্রী, জেলা নেতৃত্বকে কড়া বার্তার ইঙ্গিত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই ২১ এর নির্বাচন নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই। তবে যতই সময় এগোচ্ছে ততই শাসকদলের কাছে লড়াইটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতির মাঝেও জেলা সফর শুরু করে দিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের ও জঙ্গলমহলের পর এবারে তাঁর গন্তব্য বাঁকুড়া। বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহলের মতে, গোষ্ঠী দ্বন্ব, বালিপাচার ও কাটমানির টাকা –এই তিনের সংমিশ্রণ জেলায় জোড়াফুলের মাটিকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর বাঁকুড়ার ক্ষত কিছুটা হলেও মেরামত করা সম্ভব হয়। তবে ভোটের আগে শাক দিয়ে মাছ আর ঢাকা যাচ্ছে না। প্রথমে ঠিক ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিনের জেলা সফরে আসবেন। পরে তা পরিবর্তন হয়ে চারদিন হয়।
এ ব্যাপারে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি ওরফে রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা বিস্তারিত তথ্য দেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/netajis-attempt-to-corner-bengali-mamata-bratya/
মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া সফরঃ
- ঠিক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ নভেম্বর বাঁকুড়ায় আসবেন। ওইদিন প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
- পরেরদিন বাঁকুড়া-১ নম্বর ব্লকের সুনুকপাহাড়ি হাটের মাঠে রাজনৈতিক জনসভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর।
- পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২৩ তারিখ আকাশপথে খাতড়ায় আসবেন।
- এদিন বিকেল তিনটে থেকে গুরুসদয় মঞ্চে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
- রাত কাটাবেন মুকুটমণিপুর সেচ দফতরের বাংলোতে।
- ২৪ নভেম্বর খাতড়ার এটিএম গ্রাউন্ডে সরকারি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস-সহ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।
- এরপর ২৫ নভেম্বর দুপুরে সুনুকপাহাড়ি হাটের মাঠে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখবেন।
- পরেরদিন মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় রওনা হওয়ার কথা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২৬ নভেম্বর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই ব্যাপক রদবদল হল বাঁকুড়া জেলায়। তবে তার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
বাঁকুড়ার পুর-প্রশাসক পদে বদল করা হয়েছিল আগেই। বাঁকুড়ার আরও দুই পুরসভা বিষ্ণুপুর ও সোনামুখীর প্রশাসক পদে বদল করা হয়।
সম্প্রতি বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে সরিয়ে অলকা সেন মজুমদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিষ্ণুপুরের প্রশাসক পদ থেকে সরানো হয় শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বাঁকুড়া জেলার আরেক পুরসভা সোনামুখীর প্রশাসক পদ থেকে সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তপনজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়কে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bjp-can-see-militancy-only-if-it-explodes-in-bengal-bratya-basu/
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলার ৩ পুরসভার কাজে মোটেই খুশি ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার ভগ্নদশার খবর তাঁর কাছে আগে থেকেই ছিল। তাই তাঁর জেলা সফরের আগে এই রদবদল। মনে করা হচ্ছে এবারের জেলা সফর থেকে কড়া বার্তা দিতে পারেন দলনেত্রী।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর উপলক্ষে এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাঁকুড়াবাসী।