২৬ নভেম্বর ওয়ার্ম আপ ম্যাচ, বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই, মন্তব্য সেলিমের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে জোর কদমে নেমেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। এরই মধ্যে জায়গা ছাড়তে নারাজ বাম-কংগ্রেসও। কর্মীদের মধ্যে মনোবল বাড়াতে ২৬ তারিখের ধর্মঘটকে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ হিসাবে বেছে নিয়েছেন কংগ্রেস এবং বাম নেতৃত্ব।

কেন্দ্রীয় সরকারের আনা কৃষি আইন, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে ২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশনগুলি। ধর্মঘটের দিন সকাল থেকে দলিয় কর্মীদের রাস্তায় নাময়ার জন্য জেলায় জেলায় যৌথ মিছিল করছে কংগ্রেস এবং বাম নেতারা।

কংগ্রেসের সঙ্গে বিধানসভায় জোটের প্রস্তাবে পলিটব্যুরোর শিলমোহর পেতেই তোরজোড় শুরু করেছে আলিমুদ্দিন। কিছুদিন আগেই কলকাতায় বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী, বিমান বসু, সুর্যকান্ত মিশ্র এবং আবদুল মান্নানরা। সেই রোডম্যাপ ধরেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে যৌথ কমিটির বৈঠক। জোটের সেই ধারা বজায় রেখে ২৬ নভেম্বর দলগত ভাবে মাঠে নামতে চলেছে বাম-কংগ্রেস।

এই প্রসঙ্গে সিপি(আই)এম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, জোটের আলোচনা চলছে। তবে এখনও সিদ্ধান্ত কিছু নেওয়া হয়নি। তবে আগামী ২৬ নভেম্বর আরএসএস সমর্থিত সংগঠনগুলি বাদ দিয়ে একই ইস্যুতে দেশের সমস্ত সংগঠনগুলি একজোট হয়ে নামতে চলেছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/three-policemen-of-egra-police-station-have-been-suspended-for-collecting-money/

তাঁর কথায়, সমস্ত কৃষি সংগঠন, শ্রমিক সংগঠনগুলি সহ একাধিক সংগঠনগুলি কেন্দ্রের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়ে পৃথক পৃথকভাবে মিছিল করছে। পশ্চিমবঙ্গে এর ব্যাপক সাড়া মিলেছে। পাঞ্জাবে কৃষকরা এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র সরকার তাঁদের নতুন আইন এনে সমস্ত কিছু আম্বানি আদানিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।

এর আগেও একাধিক ইস্যুতে দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বাম সংগঠনগুলি। বনধ প্রতিহত করতে তৃণমূলের সরকারের প্রশাসনিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে একাধিক বাম নেতাকে। এবারেও যদি বাধা দেওয়া হলে কি হবে? বর্ষীয়ান সিপি(আই)এম নেতার বক্তব্য, “বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই”।

সম্পর্কিত পোস্ট