বাড়ছে করোনার প্রকোপ, উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে জারি বিধিনিষেধ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বতালিকায় আমেরিকার পরেই ভারত। তৃতীয় স্থানে ব্রাজিল। ব্রাজিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৮৬।

দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং অসমে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। করোনা প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তা জানতে চার রাজ্যকে ডেকে পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। আগে থেকে ব্যবস্থা না নিলে বিপদ বাড়তে পারে। আশঙ্কা সুপ্রিম কোর্টের।

বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং এমপি শাহের ডিভিশন বেঞ্চ তলব পাঠিয়েছে চার রাজ্যকে। এই মুহুর্তে কি অবস্থা রয়েছে? কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তা খতিয়ে দেখার জন্য রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৮৯ জন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে সেখানে। এই মুহূর্তে ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের কোটায় ঘোরাফেরা করছে।

সোমবার দেশে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হলেন ৪৪,০৫৯ জন। এনিয়ে মোট সংক্রমিত ৯১ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। হয়েছে ৯১,৩৯,৮৬৬।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫১১ জনের। মোট মৃত এখন ১,৩৩,৭৩৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮৫,৬২,৬৪২ জন।

তবে উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে দেওয়ালি, ছটের মরসুমে সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে বলেই জানা যাচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণের হারও ওই রাজ্যগুলিতে বেশি।

অন্যদিকে, করোনার দাপট বাড়ায় আবার বেশ কিছু নিয়ম বিধির পথে  হাঁটতে শুরু করেছে উত্তরভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য।

অনেক রাজ্যেই জারি হচ্ছে নৈশ কার্ফু। দেওয়ালি, ছটের মরসুমে সংক্রমণ এখন মাত্রাছাড়া। জুন-জুলাইয়ের পর এটি দ্বিতীয় প্রবাহ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

গুজরাতের পর মধ্যপ্রদেশের আটটি জেলায় জারি করা হয়েছে নৈশ কার্ফু। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ফের লকডাউন হতে পারে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। স্কুল খোলার দিন ৩১ ডিসেম্বর অবধি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bangalore-won-the-toss-and-elected-to-field/

দিল্লিতে পরপর তিনদিন মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে রাজধানীতে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। নভেম্বরের বাকি দিনগুলির জন্য বন্ধ করা হয়েছে দিল্লির দুটি বাজার।

রাজস্থানের জয়পুর, উদয়পুর, যোধপুর, কোটা, আজমির, বিকানের, আলওয়ার ও ভিলওয়ারা জেলায় নৈশ কার্ফু জারি করা হয়েছে।

গুজরাতের আমেদাবাদে ৫৭ ঘণ্টার টানা লকডাউনের পরও নৈশ কার্ফু থাকবে।

উত্তর ও পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে করোনা বাড়লেও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমছে।

তামিলনাডুতে নতুন সংক্রমণ কমেছে ৫০ শতাংশ। ওডিশা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রেও সংক্রমণ বাড়েনি।

সম্পর্কিত পোস্ট