একাধিক পন্থায় দিল্লি বর্ডারে কৃষক আন্দোলনকে প্রতিহতের চেষ্টা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষক আইনের বিরোধিতায় পাঞ্জাব থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে কৃষকরা । প্রায় ৩০ টি কৃষক সংগঠন ইতিমধ্যেই সেই আন্দোলনে পা মিলিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার থেকেই কৃষকদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চলছে। মধ্য রাতে কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই চালানো হয় জল কামান। শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয় লাঠিচার্জ। জলকামানের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে কাঁদানে গ্যাসও।

তবুও ট্রাক্টরে করে খাদ্য শস্য মজুত করে হরিয়ানা, পাঞ্জাব সহ একাধিক প্রান্ত থেকে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন প্রায় ৫০ হাজার কৃষক।

সূত্রের খবর, হরিয়ানার একাধিক প্রান্ত থেকে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ব্যবহার করা হচ্ছে টিয়ার গ্যাস। কৃষকদের আন্দোলন রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁটাতাঁরও। পাকা রাস্তা খুঁড়ে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে দেওয়ার চেষ্টা পুলিশের।

হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে বালি ভর্তি ট্রাক। সাড়ে ৮ টা থেকে সাড়ে ১০ টা অবধি পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের খন্ডযুদ্ধ চলে। প্রায় ২০০ টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই সংযুক্ত কৃষক মোর্চার তরফে তিনটি দাবী রাখা হয়েছে। প্রথম, কোনও বাধা ছাড়াই কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ করতে দিতে হবে। দ্বিতীয়, দিল্লিতে কোনও একটা জায়গা কৃষকদের আন্দোলনের জন্য দিতে হবে। সেটা রামলীলা ময়দানও হতে পারে। তৃতীয়, কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হোক। চিঠি দিয়ে কেন্দ্রের কাছে এই সমস্ত দাবী জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাজ ভারত প্রধান যোগেন্দ্র যাদব।

কৃষকদের আন্দোলন রুখতে কোভিড প্রটোকলের কথা উল্লেখ করছেন পুলিশ কর্তারা। কোভিডের কারণে ১৪৪ ধারা রয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

 

দিল্লিতে চলা আন্দোলনের জেরে রাজধানীর একাধিক রাস্তায় যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আটক করতে নয়টি স্টেডিয়ামের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লি সীমান্তে বর্ডার ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এখন অবধি গুরগাঁও বর্ডারে সেই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনঃ দলিত ভোটেই বাজিমাতের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী

ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান, কেরালা এবং পাঞ্জাব থেকে বিপুল সংখ্যক কৃষক দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন। রামলীলা ময়দানে আন্দোলনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার হরিয়ানা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন কৃষকরা। কিন্তু জলকামান এবং টিয়ার গ্যাস দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়। পুলিশ এবং কৃষকদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সোনিপতে কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে হরিয়ানা পুলিশ।

প্রায় ৫০০ কৃষক সংগঠন শুক্রবার দিল্লি বর্ডারে উপস্থিত হয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহার লাল খট্টর জানিয়েছেন হরিয়ানার কৃষকদের অসুবিধা নেই। কিন্তু বিপুল সংখ্যক হরিয়ানার কৃষক এদিনের আন্দোলনে শামিল হতে দেখা হয়েছে। আম্বালা, করনাল এবং কুরুক্ষেত্রতে কড়া নিরাপত্তা পুলিশের। এখনও পাঞ্জাব থেকে বেশ কিছু সংগঠন হরিয়ানার দিকে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট