বিজেপিতে যোগ দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একদিকে যখন বাংলা রাজনীতির আলোচনার নিউক্লিয়াসে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন দিল্লিতে গিয়ে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্ট করলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

ব্লক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিবাদের কারণে ৩ অক্টোবর দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে নেন মিহির গোস্বামী। তারপর থেকেই মিহির বাবুকে জোর চর্চা শুরু হয়।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/cm-mamata-banerjee-rss-chief-mohan-bhagawart-meeting-with-shuvendu/

শুক্রবার সেটাই স্পষ্ট করলেন বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা। এর আগে বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে মিহিরবাবু লেখেন, “গত দশ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত ও অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়ে গিয়েছেন, দলনেত্রীকে সেসব কথা বারংবার জানিয়েও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি। আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার সময় অনুভব করেছি, বাইশ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম, আজকের তৃণমূল সেই দল নয়। এই দলে আমার জায়গা নেই। তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন”।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/tmc-meeting-in-kalighat/

এরপরেই শুক্রবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বিমানবন্দরের সেই ছবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

তখন থেকেই কোচবিহারের রাজনীতিতে নতুন অঙ্ক স্পষ্ট হয়ে যায়। এর আগে দলের থেকে সমস্ত সম্পর্ক সরিয়ে নেওয়ার পরে মিহির গোস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর বাড়িতে যান নিশীথ।

পরে জেলার দুই মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা যান। কিন্তু ফিরে আসতে হয়ে তাঁদের। এরপর তৃণমূল সুপ্রিমো এবং রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক।

সম্প্রতি মিহির গোস্বামীর সঙ্গে ফের দেখা করতে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দলের ফেরার জন্য সতীর্থকে দলে আহ্বানও জানান। কিন্তু দিন বদলাতেই সেই ছবি বদলে যায়। একেবারে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে গিয়ে যোগদান করলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক।

সম্পর্কিত পোস্ট