মন্ত্রীপদ থেকে শুভেন্দুর ইস্তফার পরেই অশান্ত খেজুরি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার মন্ত্রীসভার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তার ঠিক ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই রাজনৈতিক অশান্তি ছড়ালো পুর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে।

শুক্রবার রাতে খেজুরির একাধিক এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, একাধিক পার্টি অফিসে হামলা চালিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের অন্তঃদ্বন্দ্বের ঘটনা বলে দাবী বিজেপির। শনিবার সকাল থেকেই হেড়িয়া-বোগা সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। অবিলম্বে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jammu-kashmir-first-day-election-coming-to-an-end/

তৃণমূলের অভিযোগ, বীরবন্দরের পাটনা,কন্ঠীবাড়ী,আলিচক সহ একাধিক তৃণমূল পার্টি অফিস দখল করেছে বিজেপি। লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির পতাকা।

শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্বপদ সহ একাধিক চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করার পর রাতারাতি খেজুরি এলাকায় মনোবল বেড়েছে বিজেপির। তাই একাধিক পার্টি অফিস নিজেদের দখলে আনতে চাইছে তাঁরা।

খরব ছড়িয়ে পড়তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তৃণমূল কর্মীরা। সেখানে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন মিঞা মোড়ের কাছে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত খেজুরি থানার পুলিশ। তবে পুলিশের বিরুদ্ধেও নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কর্মীরা।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা এখনই হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “এই মাত্র শিশির অধিকারীর সঙ্গে আমার কথা হল। শুভেন্দুর মা অসুস্থ। উনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বৈঠক হচ্ছে না।”

শুভেন্দুকে ঘিরে এই মূহুর্তে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তারই মাঝে আগামীকাল মহিষাদলে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।

উল্লেখ্য, শুভেন্দুর মন্ত্রীত্ব পদ ছাড়ার ২৪ ঘন্টা পুরনের আগেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও রেলশহর খড়্গপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জহর পাল।

শুক্রবার শুভেন্দুর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে জহর বাবুর বক্তব্য, দলে থেকে তো আমিও কোন গুরুত্ব পাইনি। অসুস্থ হওয়ার পরেও দলের কেউ খোঁজ নেয়নি, আমি মরেছি না বেঁচেছি। একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তাই সবসময় শুভেন্দুর সঙ্গে থাকব।

জহর বাবুর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারীর যে রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত হবে সেখানে শামিল হবেন জহর বাবুও।

ওয়াকিবহল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে প্রবেশের দ্বার হল খেজুরি। মন্ত্রীত্ব ত্যাগের পর যদি খেজুরি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তাহলে শুভেন্দু দল ছাড়লে নন্দীগ্রাম থেকে জোড়াফুলের সমূলে উৎখাত কী শুধুই সময়ের অপেক্ষা ?

সম্পর্কিত পোস্ট