পিকের নির্দেশ মানব না, দল বাঁচাতে মমতার নির্দেশ শিরোধার্যঃ জটু লাহিড়ী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মিহির গোস্বামী, শিলভদ্র দত্ত, শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার বিদ্রোহী সুর শোনা গেল  হাওড়া শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ীর গলাতেও। লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফলের পর রাজ্যে  তৃণমূলের মাটি পুনুরুদ্ধার করতে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

প্রথম দিকে প্রশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিকঠাক চললেও, যতই বিধানসভা এগিয়ে আসছে ততই ক্ষোভ বাড়াচ্ছেন তৃণমূল বিধায়করা।

প্রবীন তৃণমূল বিধায়ক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোর ভাড়াটে, তাই তাঁর নির্দেশ মানতে রাজি নন তিনি। পিকের কোনও নির্দেশ মানতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

পাশাপাশি দলনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, পিকের টিম দিয়ে সাফল্য আসবে না। দলের হাল মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই ধরতে হবে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/suvendu-meeting-in-mahisadal-trinamool-supremo-directs-counter-party-to-protest/

এছাড়াও হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বর্ষীয়ান বিধায়ক। তিনি বলেন, ভোট করানো উচিত ছিল। বোর্ড গঠন না হওয়ার কারণে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না।

সম্প্রতি পিকে শিবিরের সঙ্গে ক্ষোভের কারণে দলত্যাগ করেছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রীপদ সহ একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন যিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল চাপানউতোর।

পাঁচবারের বিধায়ক পদে থেকেছেন জটু লাহিড়ী। জেলায় যে সমস্ত প্রবীন কংগ্রেস নেতা রয়েছেন, সেই সমস্ত প্রবীণ সদস্যদের মধ্যে তিনি একজন।

সূত্রের খবর, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হয়তো হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের মুখ হতে পারেন অন্য কেউ। তাই দলের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলছেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুভেন্দু পেরেছেন মন্ত্রীত্বের মোহ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। ২০১৩ সালে হাওড়া পুরনিগমের মেয়র পদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপ দেখা গেল বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদের গলায়।

সম্পর্কিত পোস্ট