নজরে ২১ঃ চলতি মাসে ফের দুদিনের সফে রাজ্য আসছেন নাড্ডা, যোগ দেবেন সাংগঠনিক বৈঠকে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্য বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার কলকাতা জেলা কমিটির কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব।
বৈঠক শেষে শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, আগামী ৮ ও ৯ রাজ্যে আসছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
তিনি জানান, ৮ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ৯ তারিখ কলকাতা জেলার সাংগঠনিক কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি আরও বলেন ইন্ডোরে এই দুদিনের বৈঠক করা হবে।
কৃষি বিল নিয়ে মুকুল রায় কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকেও। মুকুল রায়ের কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানাতে পারেন। যার যা খুশি তাই করতে পারে। ভারতীয় জনতা পার্টির তাদের দলের নিয়ম রীতি মেনে কাজ করছেন।“
তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের প্রশ্ন, “আঠারো মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি বিল নিয়ে যা বলেছিলেন তিনি কি ভুলে গিয়েছেন?
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরেই রাজ্যে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচীর বদলে সরকারী কর্মসূচীর জন্য ডিসেম্বরে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বভারতীর পৌষ উৎসব উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে আসছেন তিনি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/mamata-banerjee-talking-on-the-phone-with-the-agitating-farmers-derek-present-in-delhi/
এবারে করোনার প্রকোপে বিশ্বভারতীতে পৌষমেলা না হলেও পালিত হবে পৌষ উৎসব। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও জমি জোট এবং আইনি জটিলতা কাটিয়ে শেষ হতে চলেছে দক্ষিণেশ্বর এবং নোয়াপাড়া মেট্রোর কাজ। খুব শীঘ্রই চালু হবে পরিষেবা। তারই উদ্বোধন করতেও বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, অমিত শাহের সফরের পরপরই রাজ্য বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত প্রত্যেক মাসেই রাজ্য সফরে আসতে পারেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশ বঙ্গ জুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। একদিকে বাম-কংগ্রেস জোট অন্যদিকে বিজেপি। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ। কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধিকে মাথায় রেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যুযুধান দুই পক্ষ। তবে শাসকদলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির।