চোরের মায়ের বড় গলা ! নাম না করে রাজীবকে কটাক্ষ অরূপের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অনুগামী তাঁরও আছে। জনভিত্তি তাঁরও আছে। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রচারের আলো থেক দূরে গিয়ে নিজের কাজ করে যাওয়াটাকেই তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন বারবার। বলেন স্পষ্ট কথা। সেটা দুর্নীতি প্রসঙ্গ হোক বা দলের সংগঠন প্রসঙ্গ।
শনিবারও ব্যাতিক্রম হলেন না নিজের স্বভাব সুলভ ভঙ্গি থেকে। জনগণের সামনে অরাজনৈতিক সভায় ব্যক্ত করলেন নিজের মনে কথা। তারপর থেকেই দলবদলের গনগনে আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের কোনায় কোনায়। তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রী ও দাপুটে তৃণমূল নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বক্তব্য নিয়েই তোলপাড় চলছে এখন শাসক- বিরোধী সব দলেই। এরই মাঝে রবিবার সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার। কোথাও লেখা, ছাত্র-যুবর নয়নের মনি। কোথাও লেখা, সততার প্রতীক। আবার কোথাও লেখা কাছের মানুষ কাজের মানুষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।
তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অবশ্য এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেননি। শনিবার তাঁকে তার বক্তব্যের কারন বা ইঙ্গিতের কেন্দ্র বিন্দুতে কে –এসব প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আপনারা যা মানে করার করুন। আমি আমার মনের কথা বলেছি।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, খানিকটা শুভেন্দুর পথেই হাঁটছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ শুভেন্দু অধিকারীও প্রথম অরাজনৈতিক সভা থেকেই দলের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে একপ্রকার ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আর শনিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেই একই পথের পথিক হলেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rajib-banerjee-is-vocal-about-the-politics-of-flattery-from-non-political-platform/
তবে শনিবার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজীব, যে তিনি দলে থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য হয়ে তার মনের কথা জনগণের সামনে ব্যক্ত করেছেন। এটা কোন অপরাধ নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে পরিষ্কার খোলাখুলিভাবে কিছু না বললেও এটা স্পষ্ট, শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপ তাকে হতাশ করেছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে দল ছাড়বেন না হয়তো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মানুষের পাশে তিনি ছিলেন-আছেন আর থাকবেন।
ইতিমধ্যেই নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাতে নিয়েছেন অরূপ রায়। তিনি বলেন, “চোরের মায়ের বড় গলা। যে অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে, আগে তার নিজের দিকটা দেখা উচিত। অনেকেই রয়েছেন যারা রক্ত দিয়ে দল তৈরি করেছেন। তাদের গ্রহণযোগ্যতা এখনো বিরাট। শুধু আমি আমি করে চিৎকার করলেই হয় না।”
দিলীপ ঘোষ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজীবের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর সকলেই বলছেন শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। তাদের মত, আরো অনেক স্বচ্ছ এবং দক্ষতা সম্পন্ন নেতৃত্বরা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেবেন বিজেপিতে। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/center-try-solve-farmer-matter-next-meet-will-on-wednesday/
তবে একুশের নির্বাচনের আগে কোন পথে হাঁটছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? বা দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা? আপাতত নজর সেদিকেই থাকবে।